ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ফের শীর্ষে বাংলা, উচ্ছ্বসিত মমতা

নিজস্ব চিত্র

ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি উৎপাদন শিল্পে (এসএসএমই) ফের নজির গড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মধ্যে ফের শীর্ষস্থান দখল করেছে রাজ্য। কেন্দ্রের রিপোর্ট দেখিয়ে এক্স হ্যান্ডলে এই তথ্য সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা ‘ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস’–এর অ্যানুয়াল সার্ভে অফ আন-ইনকর্পোরেটেড এন্টারপ্রাইসেজের রিপোর্টে বাংলার এই সাফল্যের কথা উঠে এসেছে। পাশাপাশি এমএসএমই ক্ষেত্রে বাংলার মহিলাদের অভূতপূর্ব অবদান রয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ এই সংস্থাটি দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থার উপর বছরে একটি করে এরকম সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষায় বাংলার সাফল্যের পর সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে দাবি করেছেন, রিপোর্ট অনুযায়ী অসংগঠিত ক্ষেত্রের ক্ষুদ্র, ছোটো–মাঝারি উৎপাদন শিল্পে দেশের মধ্যে রাজ্যের অবদানই সবথেকে বেশি। এরপরই কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলা সাফল্য পেয়েছে তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।

১) রাজ্যে ‘ম্যানুফ্যাকচারিং এন্টারপ্রাইজ’-এ কর্মরত কর্মীর হার ১৩.৮১ শতাংশ, যা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি।


২) মোট উৎপাদিত পণ্যের ১৬.০২ শতাংশ আসে রাজ্য থেকে, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

৩) শুধুমাত্র উৎপাদন শিল্পেই নয়, অন্যান্য পরিষেবাতেও রাজ্য প্রথম স্থানে রয়েছে (১৩.০৯ শতাংশ)।

৪) দেশের মধ্যে বাংলায় সবথেকে বেশি মহিলা পরিচালিত শিল্প সংস্থা রয়েছে (৩৬.৪ শতাংশ)।

৫) দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি বাংলার মহিলারাই অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিক হিসেবে যোগদান করেন (১২.৭৩ শতাংশ)।

সম্প্রতি রাজ্য তথা দেশজুড়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস৷ রাজ্যের মহিলাদের উন্নয়নের জন্য সবসময় উদ্যোগ গ্রহণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই কারণে নারী দিবসের দুই দিন পরই বাংলার মহিলাদের এই সাফল্যের কথা উল্লেখ করে উচ্ছ্বসিত মমতা। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যের এমএসএমই শিল্পের বিকাশ নিয়ে ফের আশার আলো দেখছে রাজ্য সরকার। ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যে আয়োজিত হয়েছিল বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এই সম্মেলনে এমএসএমই সেক্টরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এরপরই কেন্দ্রীয় রিপোর্টে রাজ্যের সাফল্যের বিষয়টি সামে এল। পাশাপাশি ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি উদ্যোগে নারীদের অংশগ্রহণ নিয়েও নতুন করে আশার আলো দেখছে রাজ্য।