• facebook
  • twitter
Friday, 23 May, 2025

‘পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কালোবাজারি নয়’ : মমতা

পহেলগাম কাণ্ডের পর তৈরি হওয়া সাময়িক জটিলতার সুযোগ নিয়ে কালোবাজারি নয়, নচেৎ কড়া পদক্ষেপ করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

নিজস্ব চিত্র

পহেলগাম কাণ্ডের পর তৈরি হওয়া সাময়িক জটিলতার সুযোগ নিয়ে কালোবাজারি নয়, নচেৎ কড়া পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নে অ্যাগ্রো মার্কেটিংয়ের বৈঠকে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কালোবাজারি করে যেন মূল্যবৃদ্ধির মতো ঘটনা না ঘটে। অতিরিক্ত লাভের আশায় সীমান্ত দিয়ে অন্যত্র সামগ্রী রপ্তানি করতেও নিষেধ করেছেন তিনি। প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে নিজেদের মতো করে সামগ্রীর ভাণ্ডার প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, এই সময়টা বিপুল রোজগারের নয়, বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। দেশকে নিজের বাড়ি মনে করে এ সব বিষয়ে নজর রাখতে বলেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে যদি কোনও কালোবাজারির খবর আসে, তাহলে সব বাজেয়াপ্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা।
কালোবাজারি রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, ‘সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হোক। মন্ত্রী, পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিক সকলেই সক্রিয় হন। টাস্ক ফোর্স নজরদারি চালাক, যাতে দালালের অনুপ্রবেশ না ঘটে। কোন বাজারে কী দাম, তা জানতে সারপ্রাইস ভিজিট করুন। রেইড নয়, নজরদারি চালান। জেলাশাসকের অধীনেও টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হোক।’ সেই সঙ্গে পৌরসভা বাজারগুলি নিয়ে জরুরি বৈঠক করার জন্য মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী বছরের বাজার-মূল্য নিয়েও কড়া অবস্থানে মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘আগামী বছর নির্বাচনের অজুহাত দিয়ে বাজার মূল্য বৃদ্ধি করা যাবে না। ২০২৬-র বাজার মূল্যের পরিকল্পনা আমরা আগেই করে রাখব।’
হর্টিকালচার থেকে এগ্রিকালচার, পোল্ট্রি থেকে ফিশারি-সহ প্রত্যেক দপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও বাজার কর্তৃপক্ষের কাছে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের স্বার্থে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আধ-ঘণ্টার বৈঠকে মমতার কথায় বারবার উঠে এসেছে ‘সুফল বাংলা’র প্রসঙ্গ। তিনি জানিয়েছেন, এ বার থেকে সুফল বাংলার আউটলেটে মাছও বিক্রি হবে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়ে হর্টিকালচার থেকে মৎস দপ্তর। মাছ-মাংসের দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর কড়া বার্তা, পেঁয়াজের মূল্য যেন আর বৃদ্ধি না হয়। শশার দাম বৃদ্ধিতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। মমতা চান, রাজ্যে আদা রসুনের চাষ বৃদ্ধি করা হোক। তাঁর দাবি, সরকার সঠিক সময়ে মনিটরিং করে বলেই বাজারে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।