বিএসএফ’কে বলছি আপনারা বিজেপি’র কথা শুনে কাজ করবেন না : মমতা

বিএসএফকে বলছি আপনারা বিজেপি’র কথা শুনে কাজ করবেন না। বনগাঁ-বাগদা সীমান্ত এলাকা। আপনারা গ্রামের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করুন। সােমবার বাগদার হেলেঞ্চায় বনগাঁ লােকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুরের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় এসে একথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমাে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Written by SNS New Delhi | April 30, 2019 10:40 am

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo: Indrajit Roy/IANS)

বিএসএফকে বলছি আপনারা বিজেপি’র কথা শুনে কাজ করবেন না। বনগাঁ-বাগদা সীমান্ত এলাকা। আপনারা গ্রামের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করুন। সােমবার বাগদার হেলেঞ্চায় বনগাঁ লােকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুরের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় এসে একথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমাে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিনের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘােষ, বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস, প্রাক্তন বিধায়ক গােপাল শেঠ, পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য, তৃণমূল নেতা অভিজিৎ বিশ্বাস, রতন সরকার প্রমুখ।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সারা বছর আইনশৃঙ্খলা সামলায় রাজ্য পুলিশ। আর ভােট আসলেই সিআরপিএফ চায়। দুবরাজপুরে এদিন বুথে ঢুকে গুলি চালিয়েছে সিআরপিএফ। কিন্তু কেন তারা বুথের মধ্যে ঢুকবে, প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সিআরপিএফ বুথে ঢুকে ভােটারদের বলছে, বিজেপিকে ভােট দিন। এই জন্যই তারা ভােটে সিআরপিএফ চায়।

বিজেপি অসম থেকে ৪০ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ দিয়েছে। এর মধ্যে ২২ লক্ষ হিন্দ বাঙালি। এরাজ্যেও নাকি তারা এনআরসি করবে? তাই তাদের সাবধান করে দিচ্ছি, বাংলায় এনআরসি’র নাম করে কোনও মানুষের ওপর আঘাত আনতে দেব না।

এখন বিজেপি খুব মতুয়া মতুয়া করছে। তারা এতদিন কোথায় ছিল। সবসময় মতুয়াদের পাশে ছিলাম। ৩০ বছর আগে আমারাই বড়মার পাশে ছিলাম। বড়মা যখন অসুস্থ হতেন আমরাই চিকিৎসা করিয়েছি। তখন তাদের কোনও পাত্তা নেই। এখন ভােটের জন্য এখানে। যখন মানুষের সমস্যা হয় তখন তাদের দেখা মেলে না।

ঠাকুরবাড়ির বড় ছেলে কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের স্ত্রী মমতাবালা ঠাকুরের নাম বড়মা আমাকে জানিয়েছিল।

মােদিবাবুর নির্বাচন আসলেই রামের কথা মনে পড়ে, সাড়ে চার বছর বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছে। আর নির্বাচনের সময় বসন্তের কোকিলের মত ঘুরছে। আসলে এরা ভােটপাখি। এরা বাংলার সংস্কৃতি জানে না, বােঝে না। বুদ্ধি থাকলে বিকাশ ঘটাতে হয়। কিন্তু এদের মগজ মরুভূমি, শুধু দাঙ্গার কথা মাথায় ঘােরে।

বামেদের কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের আমলে শুধু টাকা ধার করেছিল আর দলবাজি করেছে, আর পকেটে ভরেছে। এই দেনা মিটিয়েও উন্নয়ন প্রকল্পগুলির কাজ করেছি। সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সহ একাধিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন তিনি। ঠাকুরনগরে সবচেয়ে বড় ফুলের বাজার রয়েছে, তাই হল চাষিদের কথা মাথায় রেখে ফুল-মাণ্ডি তৈরি হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন।

নির্বাচনে বিজেপিকে ভােট দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রলােভন দেখানাে হচ্ছে বলে অভিযােগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির বাইক মিছিল সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চোরাই বাইক নিয়ে মিছিল করছে। সেগুলির কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। ভােটের পর দেখবেন সেগুলি আবার নিয়ে নেবে। ৬ মে নির্বাচনের দিন তৃণমূল প্রার্থী মমতবালা ঠাকুরকে বিপুল ভােটে জয়ী করার কথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমাে। বাগদার সভা সেরে স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকাতেও সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী।