আমি সিন্ধুর মেয়ে

মল্লিকা সেনগুপ্ত

মল্লিকা ঝরে গিয়েছে অকালে। তবু এখনও বসন্ত এলে মল্লিকা সেনগুপ্তের জন্মদিনটির পালন করা হ্য় নিয়ম করে। আগামীকাল , শিশির মঞ্চে সন্ধ্যে ছটায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রকাশনা সংস্থা প্রতিভাস এবং সুবোধ সরকার সম্পাদিত ভাষানগর পত্রিকা, ব্রততী পরম্পরা একযোগে। সহযোগিতায় পিকাশো।

মল্লিকা সেনগুপ্তর পরিচয় আমি সিন্ধুর মেয়ে। সিন্ধু নামের মধ্যে একটি স্ত্রী ব্যাক শব্দের ব্যুত্‌পত্তি থাকলেও, সিন্ধু কিন্তু নদ। দেশ কালের বেড়া ডেঙ্গানো ফুঁসে ওঠে ঊষর প্রকৃতিতে ভাসিয়ে দেওয়ার এক নদ। মল্লিকাও ছিলেন ওইরকম। ছন্দময় স্রোত নয় , উচ্ছ্বাসী প্লাবনে ভাসিয়ে নিয়েও যাওয়ার এক কূলপ্লাবী নারী মল্লিকা। তাঁর কবিতা, লেখায় এই শক্তি প্রত্যক্ষ করেছে সবাই। তাই পুরুষ ও নারী সকলের কাছেই ছিলেন আদৃত। হয় সমালোচিত হয়েছেন কিংবা প্রশংসিত।

আগামীকালের অনুষ্ঠানে মল্লিকা সেন পুরস্কার প্রদান করা হবে তানিয়া চক্রবর্তী ও শৌভিক দে সরকারকে। জ্ঞাপক হিসাবে থাকবেন যোগেন চৌধুরী ও হর্ষ দত্ত।কবিতা পাঠে শিবাশিস মুখোপাধ্যায় , পায়েল সেনগুপ্ত, অভিজিৎ বেরা, অদিতি বসুরায়, সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌষিকী দাশগুপ্ত, সৌরভ চন্দ্র, অরুণাভ রাহা রায়, সব্যসাচী সরকার , বিনায়ক। শ্রীজাত, অংশুমান প্রমুখ।


আবৃত্তিতে প্রণতি, সৌমিত্র মিত্র এবং সুতপা। মহাভারতের মল্লিকা শিরোনামে একটি সংকলন ও পরিচালনায় শ্রাবন্তী বসু। একক আবৃত্তি ও গদ্য পাঠে অলক রায় ঘটক , রূপশ্রী কাহালি , নরেশ নন্দী, চন্দ্রাণী ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি টানবেন ব্রততী ও সুবোধ।