এনআরসি চালু করার প্রচেষ্টা হলে রুখে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি বাম-কংগ্রেসের

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

অসমে এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনেক আগেই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতে এনআরসি নিয়ে মমতার পাশে দাঁড়ালেন বিরােধীরা। এব্যাপারে একজোট হয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে চাইছে তারা।

বিরােধীদের দাবি, এ রাজ্যে কোনওভাবেই এনআরসি কার্যকরী করা চলবে না। আর এই নিয়ে বিধানসভায় যৌথ প্রস্তাব আনতে চাইছে কংগ্রেস এবং বামেরা। প্রসঙ্গত এনআরসি চালু করে অসমে প্রায় ৪১ লক্ষ বাসিন্দাকে নাগরিকপঞ্জীর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। আর এই নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় আলােচনা করতে প্রস্তাব দিতে চলেছে প্রধান বিরােধী দুটি দল।

বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, অসমে বহু বাসিন্দা এনআরসির ফলে বিপদের মধ্যে পড়েছেন। এই রাজ্যের ক্ষেত্রে এরকম কোনও পরিকল্পনা করা হলে, আমরা একজোট হয়ে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব। বিরােধী দলনেতা আব্দুল মান্নানও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন।


সােমবার রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেস এবং বামেরা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চলতি অধিবেশনে ডেঙ্গু নিয়ে একটি মুলতুবি প্রস্তাব আনা হবে। বিরােধী দুটি দল মনে করে, রাজ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সরকার এব্যাপারে কি পদক্ষেপ নিয়েছে, সেবিষয়ে তাদেরকে জানাতে হবে বলে দাবি তাদের।

একইসঙ্গে চলতি বিধানসভায় ডেঙ্গু ছাড়াও কল্যাণীতে শিক্ষক নিগ্রহ, সিঙ্গুরের জমিতে চাষ না হওয়া, সম কাজে সম বেতনের দাবির বিষয়টি নিয়েও আলােচনার প্রস্তাব রাখা হবে বলে ঠিক করেছে তারা। বিরােধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের কথায়, রাজ্যে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশনে ডেঙ্গু শব্দটি লিখতে ভয় পাচ্ছেন। কল্যাণীতে পার্শ্ব শিক্ষকরা পুলিশের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা এব্যাপারেও আলােচনা চাইব।

অন্যদিকে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ডেঙ্গু নিয়ে রাজ্যসরকার নিরুত্তর। এদিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতির মােকাবিলা করতে না পারায় পরিস্থিতি ক্রমশ ঘােরালাে হয়ে উঠেছে। তিনি এও বলেন, রাজ্য সরকার যদি তাদের দাবিকে কোনও মান্যতা না দেয়, সেক্ষেত্রে সরকারকে ছেড়ে কথা বলা হবে না।