শেষ নির্বাচনী সভায় মােদি ও কমিশনকে তােপ মমতার

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

সােমবার ছিল শেষ দফার নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন। এদিন উত্তর কলকাতার মিনার্ভা থিয়েটারে ভার্চুয়াল জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমাে। উত্তর কলকাতার সাত প্রার্থীর হয়ে ভােটপ্রচার করলেন। সেখান থেকেই নির্বাচন কমিশন এবং মােদির বিরুদ্ধে। তােপ দাগলেন মমতা।

বললেন, অনেক সহ্য করেছি, আর নয়। রাজ্যে অষ্টম দফার ভােটের দিন বৃহস্পতিবার। তার বাহাত্তর ঘন্টা আগে সােমবার ছিল নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন। এদিন মিনার্ভা থিয়েটারের জনসভা থেকে করােনা পরিস্থিতির জন্য মােদি সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করলেন মমতা।

বলনেন, একজন প্রধানমন্ত্রী বিপর্যয় মােকালাি না করে বাংলা দখল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সেই কারণেই করােনার প্রকোপ এত বেড়ে গিয়েছে। অথচ দ্বিতীয় ওয়েভ যে আসবে সেকথা আগে থেকেই জানা ছিল।


কিন্তু একজন প্রধানমন্ত্রী দেশের বিপর্যয় মােকাবিলার কথা চিন্তা না করে বাংলায় ভােট যুদ্ধ নিয়ে মেতে আছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই আচরণ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কমিশন প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে বলেও এদিন অভিযােগ করলেন মমতা। বিদ্রুপ করে বললেন কমিশন বিজেপির টিয়া ময়না।

বিজেপির কথা মতাে তিন লক্ষ বাহিনী এনে বাংলায় করােনা ছড়িয়েছে। বিহার, তামিলনাড়ু, কেরালা, অসমে কোথাও এত দফায় ভােট হয়নি। তাহলে পশ্চিমবঙ্গে কেন এত দফায় ভােট হবে? প্রশ্ন তুললেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী তৃণমূলের সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। কমিশন যখন যেমন ইচ্ছে পুলিশ আধিকারিককে বদলি করে দিয়েছে।

কিন্তু এইভাবে ভাবছে নির্বাচন জিতে যাবে। কিন্তু তা কোনওদিন হবে না। তাকে কমিশনের শােকজ করার প্রসঙ্গে সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, মােদি রােজ বাংলায় এসে হিন্দু-মুসলিম করল। তাকে শাে-কজ করার সাহস নেই। তৃণমূলকে নিয়ে পড়েছে।

এদিন রীতিমতাে হুংকার দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, আমি ২০১৯-এর লােকসভা নির্বাচনে অনেক কিছু সহ্য করেছি। অনেক কিছু হচ্ছে বুঝতে পেরেও চুপ করে থেকেছি। কিন্তু আর নয়। কমিশন যে বিজেপির হয়ে কাজ করেছে, তার প্রমাণ রয়েছে। এরপরই আদালতে যাব।

করােনা নিয়ে হাইকোর্ট যেভাবে কমিশনকে ভৎসনা করেছে, সেই ভূমিকার প্রশংসা করেন মমতা। সবশেষে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দেন বিজেপি বড়জোর আশিটি আসন পেতে পারে। তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়বে তৃণমূলই।