মরশুমের শীতলতম দিন, ১১ ডিগ্রিতে জবুথবু কলকাতা

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বছরের শেষ দিনে শীতের উপহার। ঠান্ডায় জবুথবু কলকাতা। বুধবার সকালে কলকাতার পারদ নামল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২০২৫-এর সমস্ত রেকর্ড ভেঙে চলতি মরশুমের শীতলতম দিন। ২০২১ সালের পর আজই কলকাতার তাপমাত্রা নামল ১১ ডিগ্রিতে। এর আগে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা হয়েছিল মঙ্গলবার। তবে বুধবার তার চেয়েও অনেকটা পারদপতন হয়েছে। তবে শুধু কলকাতা নয়, জেলাতেও রেকর্ড তাপমাত্রা বছরের শেষ দিনে। এক কথায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডার দাপট সর্বত্রই।

মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার এক ধাক্কায় তা হয়েছে ১১ ডিগ্রি। অর্থাৎ, এক দিনে পতন প্রায় ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়েও তা ২.৮ ডিগ্রি কম। এ ছাড়া মঙ্গলবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ১৯.৬ ডিগ্রির উপরে ওঠেনি, স্বাভাবিকের চেয়ে যা ৫.৮ ডিগ্রি কম। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে বেলা পর্যন্ত শহরে কমবেশি কুয়াশা থাকবে। দুপুরের পর থেকে আকাশ পরিষ্কার এবং মেঘমুক্ত হবে।

উত্তরে সান্দাকফুতে তাপমাত্রা মাইনাস ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দার্জিলিং কাঁপছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পিছিয়ে নেই দক্ষিণবঙ্গও। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়াতে তাপমাত্রার পারদ ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ঘোরাফেরা করছে।  বীরভূমের শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ ছাড়া, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নদিয়ার কল্যাণীতে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিউড়িতে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আসানসোলে ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও নজরে পড়ার মতো।


তাপমাত্রা কম থাকায় শীতের দাপট আরও বেড়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় যথাক্রমে সাড়ে ৭ ও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল। দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়াও, শীতল ও পুবালি হাওয়ার জেরে আলিপুরদুয়ারে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়ার পথে বাধা আসতে পারে। এছাড়া কেরলের উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এর ফলে নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঠান্ডার দাপট কমছে না এখনই। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, রবিবার রাত থেকে আবারও নামতে শুরু করবে তাপমাত্রার পারদ। নতুন বছরের ৫ থেকে ১২ জানুয়ারি মধ্যে রাজ্যে ফের নতুন করে জাঁকিয়ে বসতে পারে শীত। এর প্রভাবে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা প্রবল। মোটের উপর, নতুন বছরেরও শীতের ইনিংস অব্যাহত থাকবে, তা বলাই যায়।