গত অক্টোবরে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছিল উত্তরবঙ্গ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ২৩ জন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরে এই বন্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে অনুদান ও পরিবার পিছু এক সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজ্য সরকারের তরফে সেই চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই চাকরিতে সদ্য নিয়োগ পাওয়া হোমগার্ডদের জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে। কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা ব্লকে প্রাথমিক চিকিৎসা সহ একাধিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই প্রশিক্ষণের পরে চাকরির নিয়োগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হবে চাকরিপ্রার্থীদের হাতে।
২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ও ভুটান থেকে অবিরত জল ঢোকায় উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের তরফে দ্রুত গতিতে চালানো হয় উদ্ধার কাজ। বিপর্যয়ের কবলে পড়ে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিপর্যয়ের একমাস পরেও উত্তরবঙ্গের একাধিক পরিবার এই ক্ষয়ক্ষতি সামলে উঠতে পারেনি।
এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের তরফে এই উদ্যোগ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। মাথাভাঙা ব্লকে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তরের তরফে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ, উদ্ধার ও জরুরি সহায়তার মতো কাজে দক্ষতা বাড়াতে এই প্রশিক্ষণ বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে বলে দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া পরিবারগুলির সদস্যরা জানিয়েছেন, দুর্যোগে নিজের পরিবারের প্রিয়জনকে হারানোর পর এই চাকরি তাঁদের পরিবারের জন্য নতুন ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে।