হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই হবে জগদ্ধাত্রী পুজো, বার্তা সাংসদ মহুয়া মৈত্রর

জগদ্ধাত্রী পুজো (Photo: iStock)

হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই হবে জগদ্ধাত্রী পুজো এমনটাই জানালেন তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। রবিবার কৃষ্ণনগরে বেশ কয়েকটি পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে এক বৈঠক করেন সাংসদ। তারপরেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই প্রথমে চন্দননগরের কথা মাথায় এলেও কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো আলাদা মাহাত্ম বহন করে। বাংলায় জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয় রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে। সেই সময় থেকেই রাজবাড়ীর পুজো খুব বিখ্যাত। পরবর্তীকালে বিভিন্ন বারােয়ারি পুজো কমিটি নতুন নতুন সাজসজ্জায় কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। 

আলােক সজ্জা, প্রতিমা, প্যান্ডেল, দর্শনার্থীদের ভিড় সব মিলিয়ে প্রতি বছরই মহা ধুমধামে হয়ে থাকে এই পুজো। কিন্তু এবছর করােনা মহামারীর কারনে সেই নিয়ম নীতিতে বাধ সেজেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবারের সমস্ত পুজোই নমাে নমাে করেই সারা হচ্ছে। করােনা বিধি মেনেই চলছে পুজো। 


এদিন কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্র বলেন, পুজো বন্ধ হবে না, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই হবে কৃষগরের ঐতিয্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজো। মহামারীর কারণে মাইক অনুষ্ঠান এগুলাে থেকে বিরত থেকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই পুজো হবে। 

তিনি পুজো কমিটির সদস্যদেরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে কোনাে রূপ হাইকোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন না হয়। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার ঘট ভাসান। তাই কোনােরকম ভিড় বা জমায়েত করা যাবে না। কোর্টের নির্দেশ মেনেই আমাদের পুজো হবে। অন্যান্য বছরগুলাের মতাে এবছর পূজা কমিটিগুলি তাদের প্রতিমা বেহারাদের কাঁধে করে শােভাযাত্রার মধ্য দিয়ে রাজবাড়ী হয়ে বিসর্জনের জন্য না গিয়ে সরাসরি জলঙ্গি নদীর ঘাটে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হবে বিসর্জনের জন্য। 

এছাড়াও পূজা মণ্ডপে লােকসমাগম না করার পাশাপাশি মণ্ডপগুলােতে দর্শনার্থীদের মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করতে হবে বলে জানান তিনি। 

কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পূজার জাঁকজমকতা হ্রাস পেলেও সুষ্ঠ ভাবেই হচ্ছে পুজো। গানবাজনা না থাকলেও থাকছে প্যান্ডেল, আলােক সজ্জা ও বাঙালির আবেগ। মাস্ক, স্যানিটাইজার-কে সঙ্গী করেই মানুষ বেড়িয়েছেন প্রতিমা দর্শনে। হাইকোর্টের নির্দেশ কিছু নিয়ম নীতিতে বাধ সাধলেও কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর ঐতিহ্যে ভাটা পড়েনি।