দলের সঙ্গ কি ছাড়ছেন শীলভদ্র?

শীলভদ্র দত্ত (Photo: IANS)

বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে যেন পরােতে পরােতে শুধুই চমক আর অবাক করে দেওয়ার ঘটনাতে পরিপূর্ণ হতে চলেছে। প্রথমে শুভেন্দু তার পর রাজীব। বৃহস্পতিবার চমক দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি । এরপর কে তা নিয়ে যখন জোর গুঞ্জন রাজ্য রাজনীতিতে । আর এ দিনই দলের ‘ঋণ’ শােধ করতে শুরু করলেন শীলভদ্র দত্ত। উল্লেখ্য, মাঝে মধ্যেই জল্পনা বাড়িয়ে দেওয়া বারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তর এই ঋণ পরিশােধের মধ্যে বড়সড় চমক দেখছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

প্রসঙ্গক্রমে, বেশ কয়েকমাস ধরেই বেসুরাে গাইছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। প্রথমে ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পােস্ট। তারপর বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে পিকের টিম কে বাজারী কোম্পানি বলে উল্লেখ্য।

পাশাপাশি প্রকাশ্য মঞ্চে ভােটে না দাঁড়ানাের কথা বলে জল্পনা বাড়িয়েছেন। তিনি  মাঝে কয়েকদিন চুপ থাকার পর পিকে- র টিম ‘মান ভাঙা’তে গেলে তাদের কথা না শােনা এমনকি জেলা সভাপতি রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়া মল্লিক বাড়িতে গেলে তার সাথে দেখা করা, গােপালনগরে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় তাকে দেখা না যাওয়া।


পরিবর্তে মুকুল রায়ের সঙ্গে ঘন ঘন সাক্ষাৎ জল্পনা আরও বাড়ায়। তার মধ্যেই দলের ‘ঋণ’ শােধ করতে শুরু করলেন বারাকপুরের বিধায়ক। যা তার বিজেপিতে যােগদানের সম্ভবনা আরও বাড়াচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে লিভার প্রতিস্থাপন হ্যা শীলভদ্রর সেই চিকিৎসায় বিপুল খরচ হয়েছিল। সেই ব্যয়ভার মেটাতে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার কাছ থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ধার নেন শীলভদ্র। দলের সেই ‘ ঋণ ‘ ভুলে বিরােধী শিবিরের সাথে যােগাযােগ নিয়ে তৃণমূলের একটা মহল শীলভদ্রর উদ্দেশে কটাক্ষ করে বলে তার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি। তাই দলের ‘ ঋণ পরিশােধ করতে বদ্ধপরিকর বারাকপুরের দু’বারের বিধায়ক।

বৃহস্পতিবার বারাকপুর পুরসভার প্রধান প্রশাসক উত্তম দাসকে ২ লক্ষ টাকা ফেরতও দেন তিনি। প্রথমে উওম দাসের নামে দু’লক্ষ টাকার চেক পাঠান শীলভদ্র। কিন্তু উত্তম নগদ নিতে চান। পরে বিধায়ক নিজে টাকা তুলে ক্যাশ টাকা উত্তমকে পাঠিয়ে দেন। উত্তম বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে ওকে টাকা ধার দিয়েছিলাম। দিয়েছেন এটা সংবাদমাধ্যমে আনার মতো বিষয় নয়। বাকি পাওনালারদের মধ্যে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক, নারায়ণ গােস্বামীদের মতাে নেতা। তাদের সবার টাকাই ফেরত দিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন শীলভদ্র।