রাজ্যে চলা এসআইআর প্রক্রিয়ায় এখনও পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ১০ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়ার হিসেব পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত বিএলও-দের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাদের হাতে এই পরিসংখ্যান এসেছে। তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়া যাবে সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়ার পর।
এনুমারেশন ফর্ম বিলি করার পর, পূরণ করা ফর্মও সংগ্রহ করছেন বিএলও-রা। এক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত সংগৃহীত ফর্ম খতিয়ে দেখার পর উঠে এসেছে ১০ লক্ষের মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ৬.৫ লক্ষ। এছাড়াও রয়েছেন নিরুদ্দেশ ভোটার, রয়েছেন স্থানান্তরিত ভোটার এবং একাধিক জায়গায় নাম থাকা ভোটারও।
যে সমস্ত ভোটারের নাম বাদ পড়েছে তার মধ্যে শতাংশের হিসেবে এগিয়ে রয়েছে উত্তর কলকাতা। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সম্পূর্ণ তথ্য চলে আসবে বলে আশা করছেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা। তখন ফের এই সংখ্যা কত দাঁড়ায় তা দেখা হবে। কমিশন সূত্রে জানানো হয়, ২০২৫-এর ২৭ অক্টোবরের তালিকা থেকে মোট কত নাম বাদ পড়ল তা খসড়া তালিকা প্রকাশের পরই জানা যাবে। খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ৯ ডিসেম্বর।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২৪ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজ্যে ৯৯.৭৫ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়েছে, সংখ্যার নিরিখে ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ। কমিশনের হিসেবে খুব অল্প সংখ্যক ফর্মই বিলি করা বাকি রয়েছে। পূরণ করা ফর্মের তথ্য কম্পিউটারে নথিভুক্ত করা হয়েছে ৪ কোটিরও বেশি।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল বলেছেন, ‘আমরা ভোটারদের কাছে অনুরোধ করছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এনুমারেশন ফর্ম জমা দিন। ৪ ডিসেম্বর শেষ তারিখ, তার কোনও পরিবর্তন হয়নি।’
কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এসআইআর-এর কাজের অগ্রগতিতে রাজ্যের ৫টি জেলা এগিয়ে রয়েছে। পূর্ব বর্ধমান ৬৬.৪৭ শতাংশ, আলিপুরদুয়ার ৬৬.৪১ শতাংশ, উত্তর দিনাজপুর ৬৫.৪৩ শতাংশ, মালদহ ৬৬.২৩ শতাংশ এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ৬৫.২৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার গোসাবায় সবচেয়ে ভালো কাজ হয়েছে। সেখানে ১২১ জন বিএলও ইতিমধ্যেই ১০০ শতাংশ কাজ শেষ করেছেন।
কমিশনের তরফে বিএলও-দের কাজের প্রশ্ংসা করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বলেন, ‘বিএলও-রা প্রচুর কাজ করছেন। তাঁরাই এসআইআর-এর হিরো।’ তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গই দেশের একমাত্র রাজ্য যেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও বিএলও-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি।