অক্টোবরের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর–এর প্রস্তুতি শেষ করতে হবে, সব ঠিক থাকলে নভেম্বর থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন। তার আগেই রাজ্যের বিজেপি নেতাদের কড়া বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব। তাঁর নির্দেশ, একেবারে ঠোঁটস্থ রাখতে হবে নির্বাচনী সমস্ত তথ্য। মোবাইল ঘেঁটে, পাতা উল্টে দেখে বলা যাবে না। গড়গড়িয়ে বলে দিতে হবে বিভিন্ন এলাকায় কত ভোটার, ভোট পরিসংখ্যান, মহিলা ভোটার ও সংখ্যালঘু ভোটার কত, সেখানে বিজেপির ভোট শতাংশ কত প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গেই। আর ভোটের আগে এমন ‘পড়ার চাপে’ বেজায় বিপাকে পড়েছেন রাজ্যের নেতারা। শুধু তথ্য কাছে রাখলেই হবে না থাকতে হবে একেবারে মুখস্থ।
ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, বঙ্গের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদবের নজরে বিজেপির মেধাবী নেতারা। কিন্তু, দুঃখের বিষয় এখনও পর্যন্ত এমন একজন নেতাকেও তিনি খুঁজে পাননি যাঁর সমস্ত কিছু মাথায় আছে। তাঁর কথায়, অধিকাংশ নেতারাই ফোনের উপর নির্ভরশীল। কিছু জানতে চাইলেই, তাঁদের ভরসা মোবাইল ফোন। কিন্তু রাজনীতিতে থাকতে গেলে এলাকা সম্পর্কে, দলের খুঁটিনাটি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য ঠোঁটের ডগায় থাকা উচিৎ।
Advertisement
শুক্রবার তাঁর বৈঠকে বসার কথা বাংলার বেশ কিছু নেতাদের সঙ্গে। আগামী সময়ের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে সেখানে। উপস্থিত থাকার কথা কলকাতা সংলগ্ন দুই ২৪ পরগনার বিজেপি নেতাদের। এরপর তারাপীঠেও তাঁর নেতৃত্বে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের আগে এমন নির্দেশিকা পেয়ে কার্যত চাপে রয়েছেন বাংলার বিজেপি নেতারা।
Advertisement
উল্লেখ্য, আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও কেরলে ভোট রয়েছে। সেই কারণে এই রাজ্যগুলিতে এসআইআর–এর প্রথম দফার কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে রাজ্যগুলিতে ২০২৭ সালে নির্বাচন হবে সেই রাজ্যগুলির ভোটার তালিকা সংশোধন পরবর্তী ধাপে করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। যদিও এবিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
গত ১০ সেপ্টেম্বর এসআইআর সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাথমিক বৈঠক করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই বৈঠকে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ভোটার সংখ্যা, শেষবার ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় এবং বর্তমান তালিকার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই পরবর্তী মূল্যায়ন করা হচ্ছে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন বিএলও, বিএলএ, ডিইও, ইআরও, এইআরও–দের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের কাজ করছে। এই কাজের জন্য সময়সীমাও বেধে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুরনো তালিকার সঙ্গে নতুন তালিকা মিলিয়ে দেখা, নির্বাচনের আগে কর্মীদের প্রস্তুতি ইত্যাদির কাজও চলছে। ভোটার তালিকায় ভুল আটকানোই প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন কমিশনের এক শীর্ষ কর্তা।
Advertisement



