রামরাজ্যে কিলিংরাজ, লখিমপুর কাণ্ডে যোগী সরকারকে তোপ মমতার

ভবানীপুরের এক মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধায় (Photo:SNS)

রবিবার রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসনটাকে শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লখিমপুরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রবিবার রাতেই প্রতিবাদ করে টুইটারে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মমতা। সোমবার লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রবিবার লখিমপুরের ঘটনার পরে টুইটারে মমতা লিখেছিলেন, খেরির ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি। কৃষকদের প্রতি বিজেপি’র উদাসীন মনোভাব আমাকে যন্ত্রণা দিয়েছে। সোমবার তৃণমূলের পাঁচ সাংসদের দল আক্রান্ত কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে। আমরা কৃষকদের নিঃশর্ত সমর্থন করছি।

মমতার নির্দেশে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল সোমবার লখিমপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, আবির রঞ্জন বিশ্বাস, সুস্মিতা দেব এই দলে ছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আকাশ মিশ্রর গাড়ির ধাক্কায় আন্দোলনরত কৃষকদের হত্যার অভিযোগ ওঠার পরেই টুইটারে প্রতিবাদ করেছিলেন মমতা।


সোমবার প্রথমে ভবানীপুরের শীতলামন্দিরে পুজো দেন মমতা। এরপর যান ভবানীপুর গুরদুয়ারায়। সেখান থেকে বেরিয়ে মমতা লখিমপুরের কৃষক হত্যার ঘটনা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বলেন, উত্তরপ্রদেশে রামরাজ্য নয়, কিলিং রাজ চলছে। সেখানে নির্মমভাবে কৃষকদের হত্যা করা হয়েছে। যা খুবই ‘অমানবিক, দুর্ভাগ্যজনক’।

একই সঙ্গে তিনি বিজেপির নীতির নিন্দা করে বলেন, বাংলায় সবাই খুশিমতো চলে আসে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে। নিজেদের রাজ্যে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না।

প্রসঙ্গত সোমবার লখিমপুরে যেতে গিয়ে আটক করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে। অনশন শুরু করেছেন তিনি। গ্রেফতার করা হয়েছে অখিলেশ যাদব। কৃষক হত্যার ঘটনার বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভে বসে আটক হয়েছে নভজ্যোৎ সিং সিধু।

এদিকে লখিমপুরে কৃষক হত্যার ঘটনায় যোগী সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। যোগী সরকার আশ্বাস দিয়েছে, অবসারপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে। ইতিমধ্যেই কৃষক পরিবারবর্গকে ৪৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে যোগী সরকার। এই ক্ষতিপূরণের রাজনীতিরও সমালোচনা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।