মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি নিজে হাতে বিএলও তথা বুধ লেভেল আধিকারিকের কাছ থেকে এনুমারেশন ফর্ম নিয়েছেন। বুধবার এই সংক্রান্ত খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। এই খবর যে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন মমতা। তিনি আরও জানিয়েছেন, যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি মানুষ এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করছেন ততক্ষণ তিনি নিজেও সেই ফর্ম পূরণ করবেন না।
২৮ অক্টোবর থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। ৪ নভেম্বর থেকে বিএলও–রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলির কাজ শুরু করেছেন। বুধবার খবর ছড়িয়েছিল, সংশ্লিষ্ট বিএলও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ফর্ম দিতে গিয়েছিলেন। মমতা নিজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সেই ফর্ম গ্রহণ করেছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে মমতা জানান, ‘গতকাল (বুধবার) দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও তাঁদের নির্দিষ্ট কাজ করতে আমাদের পাড়ায় এসেছিলেন। তাঁরা আমার বাড়ির অফিসে এসে, বাড়িতে ক’জন ভোটার আছে তা জেনে নিয়ে ফর্ম দিয়ে গিয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সংবাদপত্র প্রকাশ করেছে যে, আমি বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসে নিজের হাতে বিএলও-র কাছ থেকে এনুমারেশন ফর্ম গ্রহণ করেছি। এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার।’ পাশাপাশি মমতা আরও জানিয়েছেন, ‘যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি মানুষ ফর্ম পূরণ করছেন, আমি নিজে কোনও ফর্ম পূরণ করিনি এবং করবও না।’ অর্থাৎ তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বুধবার তিনি নিজে বিএলও–র হাত থেকে কোনও ফর্ম গ্রহণ করেননি।
Advertisement
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার এবং ওই কেন্দ্রেরই বিধায়ক। হরিশ পার্কের পাশে মিত্র ইনস্টিটিউশন স্কুলে তাঁর ভোটকেন্দ্র। বুধবার মমতার এনুমারেশন ফর্ম গ্রহণ করার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র কটাক্ষ করতে শুরু করে বিরোধীরা। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই মিথ্যাচারের জবাব দিয়েছেন মমতা। জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে যান সংশ্লিষ্ট বিএলও। স্বাভাবিকভাবে প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বিএলও নিজের পরিচয় জানালে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দপ্তরে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়। তাঁর মোবাইল ও ব্যাগ নিরাপত্তার খাতিরে জমা রাখা হয়েছিল। প্রায় দেড় ঘণ্টা বিএলও সেখানে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য ১৭টি এনুমারেশন ফর্ম দিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে জানিয়ে দেন, ফর্ম ফিলআপ করে পরে জমা দেওয়া হবে। এই ঘটনার পরেই খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাতে বিএলও–র কাছ থেকে এনুমারেশন ফর্ম নিয়েছেন। সেই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন মমতা।
Advertisement
Advertisement



