• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

জঙ্গি যোগ নিয়ে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ মমতার

‘‌প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব’‌

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। ফাইল চিত্র

বাংলায় জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্তর অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর এই অনভিপ্রেত আচরণে ক্ষুব্ধ হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মঙ্গলবার বিধানসভায় জবাবি ভাষণে শুভেন্দুকে কড়া জবাব দেন। মমতা জানান, তিনি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন।

প্রসঙ্গত, বিধানসভা থেকে দলের চার বিধায়ক সাসপেন্ড হওয়ার কারণে বিধানসভার বাইরে ধরনায় বসে বিজেপি। মঙ্গলবার বিধানসভায় বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে শুভেন্দুর নাম না করে মমতা বলেন, ‘কতগুলো বক ধার্মিক এসে জুটেছে। আমাকে মুসলিম লিগ বলছে। আমি কি বেলুন ফাঁস করব?’ একই সঙ্গে বলেন, ‘জঙ্গি যোগ প্রমাণ করতে পারলে একদিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে চলে যাব। আমি নাকি হিন্দু ধর্মকে তাচ্ছিল্য করি আর মুসলিম লিগ করি। আমায় এসব শুনতে হবে এখন? জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পর্ক? এর চেয়ে তো মৃত্যু ভাল। আপনি যদি প্রমাণ করতে পারেন তবে আমি মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে চলে যাব। আর এই কথা প্রধানমন্ত্রীকে আমি চিঠি দিয়ে জানাব।’‌

Advertisement

অত্যন্ত কড়া ভাষায় বিরোধী দলকে মোকাবিলা করার সময় প্রত্যেকটি ইস্যুতে ধরে ধরে বিঁধেছেন। তার জবাব অবশ্য এখনও বিরোধী দলের পক্ষ থেকে আসেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণাত্মক মেজাজের সঙ্গে বক্তব্য, ‘বাংলাদেশি জঙ্গিদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক! বাংলার মানুষকে বলব, যদি প্রমাণ করতে পারেন, একদিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে চলে যাব।‌’‌

Advertisement

উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাতবারের সাংসদ, তিনবারের বিধায়ক ও চারবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলায় মাফিয়াদের কোনও জায়গা নেই। সন্ত্রাসকারী, দাঙ্গাকারীদের আমরা জায়গা দিই না। গতকাল বিধানসভার বাইরে কী বলেছেন? আমি ভিডিও দেখেছি। উনি বলেছেন, হিন্দু ধর্মের কথা বলতে গিয়ে নাকি ওঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে? কবে থেকে উনি হিন্দু ধর্মের নেতা হয়ে গেলেন? আপনি কথায় কথায় ধর্মের নামে রাজনীতি করেন। ধর্ম নিয়েই তো করে খাচ্ছেন। মনে রাখবেন, এটা বাংলা বলেই সম্ভব। কারণ আমরা সকলকে বলার সুযোগ দিই। তা বলে ধর্মের নামে বিভাজন বরদাস্ত করব না। বাজে কথা বললে জনগণ থোতা মুখ ভোঁতা করে দেবে।’‌ এই ঘটনা নিয়ে বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ে।

Advertisement