পাশে আছি : অমিত । প্রস্তুত আছি : মমতা

সুপার সাইক্লোন'আম্ফান (Photo by Dibyangshu SARKAR / AFP)

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের দমকা হাওয়ায় কেন্দ্র রাজ্য সংঘাতের মেঘ কিছুটা হলেও সরল। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে আম্ফান। তার আগের দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি রাজ্যকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। জবাবে মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছেন রাজ্যের তরফে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও আম্ফান নিয়ে বিজ্ঞাননির্ভর প্রযুক্তি নিয়ে রাজ্যের প্রস্তুতি পর্বের প্রশংসা করে টুইট করেছেন। তবে আম্ফান মোকাবিলায় একইসঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সক্রিয় ভূমিকার প্রসঙ্গ তুলেছে।

প্রসঙ্গত করোনা পরিস্থিতির পর ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত চরমে ওঠে। এরপর রাজ্যকে অন্ধকারে রেখেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কেন্দ্রের ডাকা বৈঠক নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র প্রোটোকল না মেনে বৈঠক করছে এমন অভিযোগও করেছেন।


মমতার অভিযোগের পর চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুর্যোগে রাজ্যকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। একই সঙ্গে অবশ্য শাহ ফোন করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককেও।

মঙ্গলবার নবান্নে মমতা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের দিকে চব্বিশ ঘন্টা নজর রাখা হবে। বুলবুলের আগে ঠিক যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেভাবেই সকলকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। করোনা, আম্ফান সব একসঙ্গে হয়ে গিয়েছে। কত কী দেখব? কী আর করা যাবে।

দু’দিন আগেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ) রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। তার সঙ্গে রয়েছে রাজ্যের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মমতা বলেন, এটাই কেন্দ্র রাজ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর নীতি। তবে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আম্ফান মোকাবিলায় রাজ্যের প্রস্তুতির খোঁজখবর নেন। মুখ্যমন্ত্রীও জানান, রাজ্য সবরকমের প্রস্তুতি নিয়েছে।