রেনু খাতুনের পাশে মানবিক মুখ্যমন্ত্রী

স্ত্রীর রেনু খাতুনের সরকারী চাকরী! ভালো মতো নেয়নি স্বামী কেতুগ্রামের যুবক শের মহম্মদ। শাস্তি হিসাবে কবজি থেকে কেটে দেয় স্ত্রীযের ।

যদিও শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় রেনুর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে। তবে এতো বিপর্যয়ে দমে যাওয়ার পাত্রী নন রেনু খাতুন।

তবে মনে একটা আতঙ্ক ছিল, হাত না থাকায় নার্স এর চাকরীটা থাকবে তো? নার্সিংহোমের বিছানায় শুয়েও এই চিন্তা তাঁর যন্ত্রনা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত রেনুর


পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার উত্তরবঙ্গ সফর সেরেই ভবানীপুরে খুন হওয়া গুজরাতি পরিবারের বাড়িতে যান তিনি।

সেখানেই রেনু খাতুন প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” ওই তরুণীর কবজি কেটে দেওয়ার মতো নৃশংস ঘটনা নজরে এসেছে।

তাঁর যাতে চাকরি থাকে সেই ব্যবস্থা করব। ও বসে কাজ বা মুখে বলে কাজ করতে পারবে এই ধরনের কোন কাজ ওকে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি।

এখানেই শেষ নয়, এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও স্পষ্ট করে বলে দেন, ” ওর পাশে আমরা থাকতে চাই। ওর জন্যে কৃত্তিম হাতের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।

যেখানে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিল সেখানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেয়নি, কেন নেয়নি খতিযে দেখছি। প্রায় ৫৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, ওর চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করবে। “