হাওড়ার পুলিশ কর্মীদের প্রতিদিন শরীরের তাপমাত্রা মাপতে হবে

ইতিমধ্যেই হাওড়াকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশি তৎপরতা আগের থেকে বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। চলছে নাকা চেকিং।

Written by Debashis Das Kolkata | April 21, 2020 6:19 pm

প্রতিকি ছবি (File Photo: IANS)

ইতিমধ্যেই হাওড়াকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশি তৎপরতা আগের থেকে বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। চলছে নাকা চেকিং। এবার পুলিশের সুরক্ষার কথা ভেবে এক গুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহন করল হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট।

হাওড়া পুলিশের কমিশনার পদে রয়েছেন কুণাল আগরওয়াল। পুলিশ কর্মীদের জন্য যে আচরণ বিধি বর্তমান সময়ে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে তা হল প্রতিদিন পুলিশ কর্মী তারা তাদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখবেন এবং থানায় নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রারে তা নথিভুক্ত করতে হবে। জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করাতে হবে।

সমস্ত পুলিশ কর্মী প্রতিদিন সকাল ও রাত্রে গরম জলে গারগেল করবেন। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আগামী এক মাস মাল্টিভিটামিন খেতে হবে পুলিশ কর্মীদের। সেই সঙ্গে লেমন ওয়াটার ও কমলালেবু খাওয়ারাও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কর্মীদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।

ডিউটিরত অবস্থায়ও মাস্ক পরতে হবে। পুলিশ কর্মীরা নিজেদের পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি হাত ধুয়ে বা অ্যালকোহল আছে এমন হ্যান্ড রাব দিয়ে যাতে হাত পরিষ্কার করে তার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। অফিস ও বারাক পরিষ্কার রাখতে হবে। পুলিশের যানবাহনগুলি প্রতিদিন ব্যবহারের আগে এবং পরে স্যানিটাইজার ব্যবহার করে জীবানুমুক্ত করতে হবে।

থানাতে বাইরে থেকে কোনও লোক এলে থানায় প্রবেশ করার আগে তার হাত সাবান ও জল বা অ্যালকোহল আছে এমন হ্যান্ডরাব দিয়ে ধুতে হবে। একই ভাবে বারাকে প্রবেশ করার আগে পুলিশ কর্মীদেরও এই নিয়ম মানতে হবে।

অন্যদিকে রেড জোন হাওড়ার কথা ভেবে হোম ডেলিভারিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবকিছু করা হচ্ছে আম জনতার কথা মাথায় রেখে। সিল করে দেওয়া এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌছে দিতে হাওড়া পুরসভা তৈরি।

ইতিমধ্যে প্রায় এক লক্ষ মানুষ ওই পরিষেবার আওতায় রয়েছেন। আগামী দিনে সংখ্যাটা বাড়িয়ে তিন লক্ষে যেতে পারে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ৩১ জন হোম ডেলিভারির কাছে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেই সঙ্গে বারো জন টেলিকলার ও অন্য চার কর্মী কাজ করছেন।