ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ

ক্রমশ জোরাল হচ্ছে প্রতিবাদ। আনিস খান হত্যার বিরুদ্ধে, দোষীদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মিছিলে বেলা দুটোর সময়ে অবরুদ্ধ পার্কসার্কাস সেভেন পয়েন্ট।

কিছুক্ষন পর সেই অবরোধ উঠলেও বিরাট মিছিল এগিয়ে যেতে থাকে মল্লিক বাজারের দিকে। দুপুর দুটো কুড়ি নাগাদ মিছিলের মুখ মল্লিক বাজারের কাছে।

তার শেষ কার্যত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মিছিল যাওয়ার কথা ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে। ফলে বিকেলের আগেই অবরুদ্ধ হয়ে যেতে পারে শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা।


বাস্তবে হলও তাই। মিছিল এসএন ব্যানার্জি রোড হয়ে যাওয়ার কথা ধর্মতলার দিকে আলিয়ার পড়ুয়ারা মহাকরণ অভিযানের ব্যানার নিয়ে মিছিলে যাচ্ছেন।

ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিছিল আটকানোর সমস্ত বন্দোবক্ত করেছে পুলিশ। চার জন ডিসি পদমর্যাদার অফিসার ডোরিনা ক্রসিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে লালবাজারের তরফে।

এদিন মিছিল যখন এজেসি বোস রোডের বাম্বু ভিলার কাছে তখন পড়ুয়ারা খবর পান ডোরিনা ক্রসিং পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছে।

ধর্মতলা থেকে অন্তত ১০ কিলোমিটার দূর থেকেই আলিয়ার পড়ুয়ারা প্রশাসনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মিছিল আটকালে ওখানেই বুঝে নেওয়া হবে এই মিছিল আটকানোর সাহস যেন পুলিশ না দেখায়। ছাত্ররা নন। বহু নাগরিকও পা মিলিয়েছেন এই মিছিলে।

আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবার যাদপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল এসএফআই। সেই ধর্মঘটে বাম ছাত্রদের ওপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনাতে কৌশিকী ভট্টাচার্য ও তৃণা ভট্টাচার্য্য নামে দুই এসএফআই নেত্রী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে তাদের চিকিৎসা চলছে কেপিসি হাসপাতাল।

এসএফআই নেতা শুভদীপ ভট্টাচার্যের অভিযোগ তৃণমূলের শিক্ষাকর্মী ইউনিয়নের নেতা বিনয় সিংয়ের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে তাদের সঙ্গে ছিল আরও ৩০-৪০ জন বহিরাগত।

বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ অরবিন্দ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে বাম ছাত্রীরা। এই সময় ক্যাম্পাসে এসএফআই ছাত্রদের জমায়েত বাড়তে থাকে।

এসএফআইয়ের তরফ থেকে দাবি করা হয়, বিনয় সিং সহ হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।