আগামী তিন মাস মিঠুনকে নিয়ে কোনও মন্তব্য নয়

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আগামী তিন মাস কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলায় এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ডিসেম্বর মাসে ফের এই মামলার শুনানি হবে।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মিঠুন ও কুণালের মামলাটির শুনানি ছিল। শুনানিতে মিঠুনের আইনজীবী জানিয়েছেন, পদ্মভূষণ এবং দাদাসাহেব ফালকের মতো সম্মান লাভ করেছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ মিঠুন। প্রকাশ্যে তাঁকে অপমান করেছেন কুণাল। মিঠুন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে কুৎসা করেছেন। এর ফলে অভিনেতার সামাজিক মর্যাদাহানি হয়েছে। এমনকী তাঁকে সমস্যাতে পড়তে হয়েছে। তাঁর চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনের কাজেও ব্যাঘাত ঘটেছে। দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের পর এদিন বিচারপতি জানিয়েছেন, এই মামলায় কুণালকে নোটিস দিতে হবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিঠুন বা তাঁর পরিবারের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না কুণাল। ডিসেম্বর মাসে ফের এই মামলার শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, মিঠুন চিটফান্ড কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছিলেন কুণাল। পাশাপাশি মিঠুনের অভিযোগ, তাঁর ছেলে ধর্ষণের মামলায় ও স্ত্রী আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত বলে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল নেতা। কুণালের এই সব মন্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে তাঁকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন বিজেপি নেতা মিঠুন। কিন্তু তার জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা রুজু করেন মিঠুন। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর সম্মানহানি করা হয়েছে। এবার এই মানহানি মামলার শুনানিতে কুণালকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মিঠুন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলল আদালত।