• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

উচ্চ প্রাথমিকে অবিলম্বে ১ হাজার ২৪১ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

বিভিন্ন বিষয়ে সংরক্ষণের নিয়ম মেনে প্রার্থী নিয়োগে সমস্যা হচ্ছে বলে আদালতে জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

উচ্চ প্রাথমিকে ১ হাজার ২৪১ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের তরফে ২০২৪-এর ২৮ আগস্ট ১৪ হাজার ৫২ জন প্রার্থীকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো ৮ বার কাউন্সেলিংও হয়। কিন্তু এর পরেও ১ হাজার ২৪১ জন চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং করতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। যোগ্য প্রার্খী যাঁরা, তাঁরা আবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এই ১ হাজার ২৪১ জনকে নিয়োগ করার জন্য অবিলম্বে প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ আদালতের। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন এঁদের কাউন্সেলিং করে নিয়োগপত্র দিতে হবে।

গত ১০ বছরেও চাকরি পাননি ১ হাজার ২৪১ জন। উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালে। এরপর ১০ বছর কেটে গেলেও পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার ৫২টি শূন্যপদে নিয়োগ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে নিয়োগ সম্পন্ন করতে পারেনি কমিশন। গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর ১৪ হাজার ৫২টি শূন্যপদে নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন।

Advertisement

উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই ৮ দফা কাউন্সেলিং সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ে সংরক্ষণের নিয়ম মেনে প্রার্থী নিয়োগে সমস্যা হচ্ছে বলে আদালতে জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ফলে শূন্যপদ থেকে গেলেও নিয়োগ পাচ্ছেন না যোগ্য প্রার্থীরা। কলকাতা হাইকোর্ট শিক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে, সংরক্ষিত শূন্যপদ না থাকলে প্রয়োজনে প্রার্থীকে যোগ্যতার ভিত্তিতে জেনারেল পদেই নিয়োগ করতে হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ঘিরে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। ২০১৯ সালে পার্সোনালিটি টেস্টের পর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলেও ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর একাধিক অনিয়মের জন্য পুরো তালিকাই বাতিল করেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। একাধিক বেঞ্চ ঘুরে মামলাটি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে আসে। ডিভিশন বেঞ্চ অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement