কলকাতার বাসিন্দাদের দ্রুত ও নির্ভুল জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র দিতে পুরসভা চালু করল বিশেষ হেল্পডেস্ক। পুরসভার সিংহদুয়ারেই তৈরি হয়েছে নতুন এই ব্যবস্থাপনা। মোট আটটি কাউন্টার এবং অভিযোগ জানানোর জন্য পৃথক একটি ডেস্ক। এর আগে টানা সাত দিন ৬ নম্বর গেটে অস্থায়ী কাউন্টার চালানো হচ্ছিল।
ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান, ‘কলকাতা পুর এলাকায় যাঁদের জন্ম বা মৃত্যু হয়েছে তাদের নথি মিলিয়ে শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছিল। এখন সেই ব্যবস্থাকে আরও বড় করা হল। মানুষ যাতে দ্রুত পরিষেবা পান, সেই লক্ষ্যেই এই নতুন উদ্যোগ।’
পুরসভার রেকর্ড রুমে রয়েছে প্রায় ১২০ বছরের পুরনো নথি। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সেই নথি খোঁজা হয় না। যাঁরা উপযুক্ত পুরোনো কাগজ দেখাতে পারছেন, তাঁদের পুরসভার জলছবিযুক্ত ডুপ্লিকেট জন্ম বা মৃত্যুর শংসাপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে নথিটি যদি এক বছরের বেশি পুরনো হয়, তাহলে প্রতি কপির জন্য সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।
এবার থেকে যাঁদের জন্মতারিখ বা জন্মবর্ষের কোনও নথি নেই, তাঁরাও আর বঞ্চিত হবেন না। বার্থ অ্যান্ড ডেথ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের বিশেষ বিধি মেনে দেওয়া হবে ‘নন আইডেন্টিটি বার্থ সার্টিফিকেট’। পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড থাকলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব হবে বলেই জানিয়েছে পুর স্বাস্থ্য দপ্তর।
তবে সমস্যার জায়গাও কম নয়। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তির সব নথি ঠিক থাকলেও কম্পিউটারে জন্মতারিখ দুই-তিন বছর এদিক-ওদিক দেখাচ্ছে। এমন গরমিল থাকলে আমরা শংসাপত্র দিতে পারছি না।’ বিদেশে পড়াশোনা বা চাকরির জন্যও অনেকেই ডুপ্লিকেট জন্ম শংসাপত্র সংগ্রহ করতে পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনে ভিড় করছেন।
অতীন ঘোষ জানান, প্রতিদিন প্রায় ১০০টি জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়। নতুন পরিকাঠামো চালু হওয়ায় এখন দিনে আরও ৪০০টি শংসাপত্র ইস্যু করার ক্ষমতা তৈরি হল পুরসভার।