গীতা পাঠের পাল্টা হিসেবে শুধু সংবিধান পাঠ নয়, করা হবে লক্ষ মানুষের কণ্ঠে হরিনাম সংকীর্তন। হবে সেই ব্রিগেডেই। হরিনাম সংকীর্তনের ডাক দিয়েছে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের গোসা পরিষদ। যার নেত্রী তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে। ‘অরাজনৈতিক’ বলেও দাবি করেন গোসা পরিষদের সভাপতি নান্টু হালদার।
তিনি বলেন, ‘আমরা অরাজনৈতিক কর্মসূচি করতে চাই। লক্ষ কণ্ঠে হরিনাম হবে। জানুয়ারিতেই দিন ঘোষণা করা হবে।‘ গীতাপাঠের অনুষ্ঠান নিয়ে কৃষ্ণনগরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গীতাপাঠের জন্য পাবলিক মিটিং করার কী আছে? ধর্ম মানে মানবতা, ধর্ম মানে শান্তি।’ গীতাপাঠ অনুষ্ঠানকে ‘ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে মমতাবালাপন্থী মতুয়া সংগঠনের দাবি, এই কর্মসূচির সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্কই নেই। নান্টু হালদারের কথায়, ‘কেউ গীতাপাঠ করছেন, কেউ কোরান পাঠ। কিন্তু মতুয়ারা অরাজনৈতিক।’ ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনকে মাথায় রেখেই এই বিশাল হরিনামের আয়োজন বলে দাবি মতুয়া মহাসঙ্ঘের। হরিনামের শেষে নির্বাচন কমিশনের কাছে মতুয়াদের ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার দাবিও জানানো হবে। এদিকে সিএএ-র ফর্ম পূরণ করার পরেও নাগরিকত্ব না মেলায় ক্ষুব্ধ মতুয়ারা। অনুষ্ঠানে তা নিয়েও প্রতিবাদ করা হবে।
গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে ছিলেন বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। রাজ্যপাল গেলেও মুখ্যমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে যাননি। পরে কোচবিহার যাওয়ার সময় দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, ‘ওটা তো বিজেপির কর্মসূচি! সেখানে আমি কীভাবে যাব?’
হরিনামের আমন্ত্রণ পেলে বিজেপিরা যাবে বলে জানিয়েছে। বিজেপি নেতা প্রিয়াংগু পাণ্ডে জানিয়েছেন, ‘মতুয়াদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। তাই হরিনামের আমন্ত্রণ পেলে আমরা যাব।’ গীতাপাঠ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছিল। এবার সেই ব্রিগেডেই হতে চলেছে হরিনাম সংকীর্তন।