আমুদে ১৫ আগস্ট

সুখেন্দু হীরা

অনেকেই বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা দিবসে অর্থাৎ ১৫ আগস্টের দিন আমোদ করি, স্ফূর্তি করি। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করি না, দেশের কথা ভাবি না, দশের জন্য চিন্তা করি না, নিপাট একটা ছুটির দিন কাটাই।’

এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমার একটা বক্তব্য আছে। তা হল–একদিন দেশের কথা ভাবলে, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদানের কথা স্মরণ করলে, দেশ উদ্ধার হয়ে যাবে। বছরের বাকি দিনগুলি কিছু করার দরকার নেই। প্রতিনিয়ত আমরা ক’জন ‘দশের’ কথা ভেবে সদর্থক ভূমিকা নিই বা কাজ করি?


তবে এটা ঠিক প্রতিদিন আমাদের দেশপ্রেমিকদের কথা স্মরণ করা হয় না। তাঁদের জন্মদিন, প্রয়াণ দিবস ও জাতীয় দিবসগুলিতে অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে তাঁদের স্মরণ করার অবসর মেলে। এই স্মরণ উৎসবের প্রধান উদ্দেশ্য হল তাঁদের আদর্শ, কৃতিত্ব, কর্মপন্থাকে সর্বসমক্ষে তুলে ধরা। যাতে তাঁদের আদর্শকে পাথেয় করে এগিয়ে যেতে পারি এবং নতুন প্রজন্মের কাছে একটা অনুকরণযোগ্য জীবন দর্শন উপস্থাপন করতে পারি। সেই সঙ্গে উৎসবের বাড়তি পাওনা ‘আনন্দ’ তো আছেই।

তাই স্বাধীনতা দিবসের দিন বিপ্লবী ও অন্যান্য দেশপ্রেমিকদের স্মরণ করতে হবেই। তাই জাতীয় দিবস গুলিতে যে আচার বিধি আছে, সেটুকু পালন করে, বাকি সময়টা জনগণ যদি একটু আনন্দ করে ক্ষতি কী? এমনিতেই আমাদের সমস্যা দীর্ণ জীবন। যদি ২৬ শে জানুয়ারী ও ১৫ ই আগস্ট অন্যান্য দিনের মতো কর্মব্যস্ত থাকতে হয়, তবে এই দিনগুলোর মাহাত্ম্য সাধারন মানুষ অনুধাবন করবে কী ভাবে! তাই দুটি জাতীয় দিবসে যদি একটু আমোদে থাকা যায়, মন্দ কী?

আমাদের এই আমোদে থাকার অভ্যাস টা কিন্তু হঠাৎ করে আসেনি। এটা আমাদের মধ্যে ঢুকে গেছে ছোটবেলা থেকেই। আমাদের ছেলেবেলায় স্বাধীনতা দিবস মানে ছিল সকাল আটটায় স্কুলে যাওয়া। লাইন দিয়ে দাঁড়ানো। দেশাত্ববোধক গানে গলা মেলানো। শেষে লজেন্স বা জিলিপি খেয়ে বাড়ি ফেরা। বাড়িতে সেদিন ‘খাসি’। এজন্য সেদিন সকাল থেকে ‘বাবা’দের মাংসের দোকানে ‘মাটন’-এর জন্য লাইন।

পরবর্তীকালে সেটা মাটন থেকে ‘চিকেনে’ পরিবর্তিত হয়। কারনটা অবশ্যই আর্থিক। তবে ‘রেড মিটে হাই কোলেস্টরল; হার্টের জন্য খুব খারাপ’ এই ডাক্তারি যুক্তি বাবাদের পকেটকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল। মাংস ভাত খেয়ে দুপুরে তোফা ঘুম। অথবা দূরদর্শনে দেশাত্ববোধক কোনও সিনেমা। ১৫ আগস্টে আরেকটা আমোদের বিষয় ছিল- ‘এক দিনের ফুটবল টুর্নামেন্ট’। পাড়ায় পাড়ায় ফুটবল খেলা হত কাঁদা মেখে, জলে ভিজে। সন্ধ্যা থেকে আবার দৈনন্দিন রুটিনে ফিরে আসা।

আমার আটের দশকে স্কুল জীবন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমরা প্রতিদিন স্কুল শুরু হবার আগে দাঁড়াতাম প্রার্থনার লাইনে। সেই সারির ক্রম ছিল উচ্চতা অনুযায়ী ছোট থেকে বড়। সেইমতো ১৫ ই আগস্টেও খাঁড়া হতাম। জাতীয় সংগীতের পর মিলত একটি করে লজেন্স। কখনও মনে হয়নি, একটিমাত্র লজেন্সের জন্য কেন স্কুলে যাব। স্কুল যাওয়াটা ছিল অনেকটা বাধ্যতামূলক।

আজকাল অনেক প্রাইভেট স্কুলে শুনি জাতীয় দিবসগুলিতে স্কুল বন্ধ থাকে। পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ তুলে দেয়। ছাত্র-ছাত্রীদের আসতে হয় না। আমার মনে হয় এইটি সুঅভ্যাস নয়। হাইস্কুলে প্রার্থনার রীতিতেই দাঁড়াতাম, তবে উচ্চতার ক্রমানুসারে নয়। শুধু জাতীয় সংগীত নয়, আরো অনেকগুলো গান হত। এজন্য ক’দিন ধরে রিহার্সাল হত। যারা প্রার্থনা সংগীত গাইত ‘প্রেয়ারের’ সময়, তারাই অনুশীলন করত। একটি গান প্রতি বারেই হত, তা হল- “মুক্তির মন্দিরে সোপান তলে কত প্রাণ হল বলিদান।”

এই গানটা তখনও শুনলে গায়ে শিহরণ জাগত, এখনও জাগে। শেষ হত জনগণমন দিয়ে। তারপর সারিবদ্ধভাবে দুটি জিলিপি নিয়ে স্কুল থেকে বেড়িয়ে আসতাম। তখনও জানতাম না ‘জিলাবি’ হল “সেলিব্রেশন সুইটস”। বড় হয়ে জেনেছি। তখন জানতাম জিলিপি খেতে হয় রথের মেলার সময়। আর সঙ্গে পাঁপড় ভাজা।
ছেলেবেলার স্বাধীনতা দিবসের স্মৃতি বলতে যেটা সবচেয়ে মনে পড়ে তা হল, ১৫ আগস্টের দিন ফুটবল টুর্নামেন্ট। সর্বনিম্ন দু টাকা এন্ট্রি ফি দেখেছি এই খেলাতে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এন্ট্রি ফি বাড়তে থাকে। দল বাড়তে থাকে, ‘প্রাইজ মানি’ বাড়তে থাকে। প্রথমদিকে কমপক্ষে ১৬ জন ছেলে হলেই হয়ে যেত টুর্নামেন্ট। চারটে টিম। প্রতি দলে চারজন করে। একজন মোটামুটি নিরপেক্ষ ছেলেকে রেফারি করা হত। অদ্ভুদ একটি ব্যাপার আমি লক্ষ্য করতাম, তা হল যে দলটা আপেক্ষিক ভাবে দুর্বল মনে হত; তারাই জয়ী হত।

আরেকটা মজার ব্যাপার ছিল, তা হল প্রাইজ কেনা। পুরস্কার হিসেবে উইনার্স ও রানার্স দেওয়া হল দু সাইজের ‘শিল্ড বা কাপ’। চারটে ছোটো ও চারটে তার থেকে সামান্য বড়। রেফারিকে একটা কলম। এই প্রাইজ কিনতে যারা যেত তারা শিল্ড, কাপ ও কলমের দামের মধ্যে তাদের ‘এগরোল’-এর দাম ধরে রাখত। এজন্য আমি বলতাম, দুজনের বেশি প্রাইজ কিনতে যাওয়ার দরকার নেই। যতজন যাবে, ততগুলো এগরোলের দাম ফান্ড থেকে কমবে, সেই সঙ্গে পুরস্কারের গুনমান কমবে।

একবার একটা মজাদার ব্যাপার ঘটেছিল। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণের সময়। সেবার আমার এক বন্ধু নিজ হাতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল। বন্ধুর দলটা খুব ভালো হয়েছিল। শক্তপোক্ত টিম। জয় নিশ্চিত। তাই সেই বন্ধু নিজের এগরোলের দাম ‘স্যাকরিফাইস’ করে ভালো শিল্ড কিনে এনেছিল। কিন্তু ফাইনালে হেরে যাওয়ায় সেই বন্ধু খুব হতাশ হয়। তার ঘরেই পুরস্কারগুলো রাখা ছিল, সেগুলো বার করছে না। সেই নিয়ে ঝামেলা।
সবাই তার বাড়িতে গিয়ে ধর্না দেয়। শেষে সেই বন্ধুর মাকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ছেলের দুঃখ দেখে বন্ধুর মা বলে ফেলল, “ও এতো খাঁটাখাঁটনি করেছে, ওকে একটা শিল্ড দিয়ে দে না।”
সমাবেত উত্তর আসে, “কাকিমা এ তো গোনাগুনতি প্রাইজ, ওকে দেবো কী ভাবে?”
কেউ একজন ফুট কাটে, “একটা এগরোল তো খেয়েছে।”
অমনি সেই বন্ধু প্রতিবাদ করে বলে, “না, মা; ওরা মিথ্যা বলছে, আমি এগরোল খাইনি।”

এখনও গ্রামবাংলায় ১৫ ই আগস্টের দিন ফুটবল টুর্নামেন্ট হয় অত্যন্ত ধুমধামের সঙ্গে। জঙ্গলমহলে ফুটবল খুব জনপ্রিয়। তাই স্বাধীনতা দিবসের দিন জঙ্গলমহলে ঘুরলে দেখা যাবে গ্রামে গ্রামে টুর্নামেন্ট হচ্ছে। মোটা এন্ট্রি ফি, আকর্ষনীয় পুরস্কার। প্রচুর দর্শক। এই জনসমাগমের সুযোগ নিয়ে খেলার মাঠেই বসে যায় ‘মোরগ’ লড়াইয়ের আসর। তা দেখতেও প্রচুর ভিড়।

একবার স্বাধীনতা দিবসের দিন ঘুরতে ঘুরতে হাজির হয়েছিলাম বীরভূমের গণপুরের জঙ্গলে। সোনাঝুড়ি জঙ্গল ছাড়িয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম গ্রামের দিকে। একটা মাঠে দেখি ফুটবল টুর্নামেন্ট হচ্ছে। ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। পুরোটা আদিবাসী ছেলেদের ব্যবস্থাপনা। প্রতি বছর হয়। ১৬ টি টিম নাম দেয়। এন্ট্রি ফি ৩০১ টাকা। এটা ২০১০ সালের কথা। মাঠের খেলা থেকে আমায় বেশি টানল মাঠের পাশে জড়ো হওয়া সাইকেল দেখে। সারি সারি সাইকেল সোনাঝুড়ি গাছের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছে। যেমন দূর-দূরান্ত থেকে যেমন খেলোয়াড়রা এসেছে, তেমন দর্শকরাও এসেছে সাইকেল চড়ে।

কলকাতায় ১৫ আগস্টের দিন একটি আকর্ষনীয় বিষয় থাকে, তা হল ‘বই বাজার’। কলেজ স্ট্রিটে এদিন সমস্ত বইয়ের দোকান বন্ধ থাকে। তবে কলেজ স্ট্রিটের ফুটপাত ধরে বাজারে সব্জি নিয়ে বসার মতো বই নিয়ে বসে যায়। বেশিরভাগ পুরনো বই। তবে অব্যবহৃত নতুন বইও থাকে। গ্রন্থপ্রেমীরা খুঁজে পান অনেক মুক্তো-মাণিক্য। তবে এটা শুধু ১৫ আগস্ট বসে তা নয়। বছরে আরো দুটি দিন বসে। ২৬ জানুয়ারী ও পয়লা মে বসে। অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবস ও শ্রম দিবসের দিন বসে।

যারা এই বই নিয়ে বসেন তাদের অনেকের পুরনো বইয়ের দোকান আছে কলেজ স্ট্রিটে, কেউ অন্য দোকানে কাজ করে, কেউ অন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত, এদিন পুরনো বই সংগ্রহ করে বসে পড়েন। সংগ্রহটা কয়েকদিন আগে থেকে করে। আচ্ছা এদের কী এদিন আমোদের দরকার নেই? এরা তো অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত, এই সার্বজনীন দিনগুলি ছুটি নেবেন না? কিন্তু এই বাজারে সব থেকে ভালো দিক কম দামে অনেকে তাদের চাহিদার বই পেয়ে যায়। প্রচার খুব বেশি নেই বলে ভিড়ও কম হয়।

সবাই যে ১৫ আগস্টে আমোদ করার সুযোগ পায়, তা নয়। বইবাজার পসারিদের মতো অনেককে এদিন কাজ করতে হয়। যেমন প্রতিরক্ষা কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, অন্যান্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের। তবুও সবার মধ্যে একটি খুশির আমেজ থাকে। এটাই কম কী! রাষ্ট্র একদিন সবার জন্য আনন্দের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। তবে বীরভূমে পাথর খাদানে এদিন দেখেছিলাম ছুটি থাকে না। বেশ পুরো দমে কাজ চলে, ঘরঘর যান্ত্রিক শব্দে পাথর ভাঙ্গে ‘ক্রাশার’। বাতাসে উড়ে পাথরের ধুলো। আমি একবার পাথর খাদানের মালিক সমিতিকে ডেকে বলেছিলাম, এই তিনটে দিন বন্ধ রাখতে ক্রাশার। ২৬ শে জানুয়ারী, ১ লা মে ও ১৫ ই আগস্ট। অন্তত জাতীয় ছুটির দিন গুলোতে। এই দুই দিন ছুটি পেলে ওরা এই দুদিনের মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও বুঝতে পারবে, এই দুদিন বিশেষ কোনও দিন। এইটুকু অনুভূতি অনুধাবন করে দেবার ব্যবস্থা করাটাই একটা বড় কাজ। হয়তো এজন্য এই দু-দিনের বেতন কাটা যাবে। দিন আনি দিন খাই মানুষগুলোর পেটে টান পরবে। কিন্তু কাজ বন্ধতো কারণে, অকারণে বিভিন্ন সময়ে হয়ে থাকে। এই তিন দিন অর্থাৎ সাধারনতন্ত্র দিবস, শ্রম দিবস ও স্বাধীনতা দিবস পূর্ব নির্ধারিত থাকলে, সে অনুযায়ী তাঁরা ব্যবস্থা নেবে।

স্বাধীনতা দিবসের দিন সর্বত্র ছুটির আমেজ থাকে বলে, সকালের দিকে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকে। শুধু রাস্তা নয়, নদীও ফাঁকা থাকে। একবার গঙ্গা বক্ষে উলুবেড়িয়া থেকে উজানে নাজিরগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত এসেছিলাম টহল দেবার আছিলায়। নদীতেও অন্যদিনের তুলনায় অনেক জেলে নৌকো কম। ছুটির দিন বলে ফেরিও বন্ধ।
এদিন পথে শুধু দেখা মেলে পুলিশ বাহিনী। এদিন পুলিশ বাহিনীর আলাদা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। যদি কোথাও কোন নাশকতা মূলক ঘটনা ঘটে, তবে নাক কাটা যাবে দিন-দুপুরে। আগের রাত থেকে থাকে বাড়তি সর্তকতা। যদি কোনও দেশদ্রোহী দল ঘটিয়ে দেয় কোন বিধ্বংসী কাজ, তাহলে তাদের প্রচার হবে শতগুন বেশি অন্যদিনের তুলনায়।

তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর লোক বাইরে বেড়িয়ে পরে। শুরু হয়ে যায় রাস্তায় মোটর সাইকেল বাহিনীর দাপাদাপি। সেইসাথে পাড়ায় পাড়ায় মাইকে সশব্দে দেশাত্মবোধক গান বাজানো। বিভিন্ন শপিং মল, বিনোদন পার্কে উপচে পরা ভিড়। একবার এরকমই একটি শপিং মলে গিয়েছিলাম কেনাকাটার জন্য। বিপনিতে ঢোকাই যাচ্ছে না। এতো ভিড়। হবে নাই বা কেন। এক সপ্তাহ ধরে বিজ্ঞাপন দিয়েছে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘কেনাকাটার স্বাধীনতা’। অর্থাৎ ছাড়ের লোভ দেখিয়ে পণ্য গছানোর সহজ ফাঁদ।

আমরাও কিছুটা ছাড়ের ফাঁদে, কিছুটা প্রয়োজনে হাজির হই হাওড়ার একটি পণ্য ক্রয় বিপনিতে। তখন মনে হচ্ছিল প্রথমের কথাগুলো ফিরিয়ে নিই, আমোদ না করে ঘরে বসে স্মৃতিচারণ করা উচিৎ।

বাঙালি তথা ভারতীয়রা এমনিতেই কর্মবিমুখ। তারপর যদি কোনও একটা উৎসবের অছিলা পায় দেখতে হবে না। আগে-পরে দু-একদিন যোগ করে উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ, তিনগুণ করে নেবে। কথায় বলেনা, “এমনিতে ছাই তার উপর আবার হাওয়া”। সেই দশা আমাদের। জন্মাষ্টমী তিথি ১৫ ই আগস্টের আসে পাশেই পড়ে। যদি পাশাপাশি দিন হয়ে যায়, আর যদি একটি শনিবার, রবিবারের ছোঁয়া পেয়ে যায়। আর চিন্তা নেই, দুই থেকে চারদিনের জন্য কাছাকাছি সব ভ্রমণ গন্তব্যে আর জায়গা পাওয়া যাবে না।

স্বাধীনতা দিবসে অনেকগুলি আমোদ-প্রমোদের কথা বললাম। যেটা বলে শেষ করতে চাই, সেটা একটু ‘বাণী’ ‘বাণী’ শুনতে লাগতে পারে। তবে এটা বলছি বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে। এই স্বাধীনতা জাহিরের দাপাদাপিতে অনেককে ভয়ে কুঁকড়ে থাকতে হয়, পরাধীন মানুষের মত। আপনি এদিন আমোদে মেতে উঠতেই পারেন। সেটাতে আপনার যেমন স্বাধীনতা আছে, আবার তেমনই অনেকের এই দিনটি শান্তিতে কাটানোর স্বাধীনতা আছে। তাই স্বাধীনতা দিবস সে ভাবেই পালন করা উচিত, যাতে আপনার ‘আমোদ’ যেন অন্যের ‘বিপদ’-এর কারণ না হয়।