• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

‘এ বার শান্তনুকে জামিন দিন’, নিয়োগ মামলায় বিচার ভবনে আর্জি আইনজীবীর

দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারক বলেন, ‘অনেকরই সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। আপনাদের চার্জশিটেই সেটা দেখা যাচ্ছে।’

ফাইল চিত্র

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন। যদিও সেই আবেদনের শুনানিতে শান্তনুর জামিন দিতে অস্বীকার করেছে আদালত।

বুধবার দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারক বলেন, ‘অনেকরই সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। আপনাদের চার্জশিটেই সেটা দেখা যাচ্ছে।’ সিবিআই জানায়, মামলার অভিযুক্তরা একই সুতোয় বাঁধা। এজেন্ট থেকে সাব-এজেন্ট, সেখান থেকে সরকারি কর্মী, অনেকে জড়িত। শান্তনুকে এখন জামিন দিলে তদন্তের ক্ষতি হবে। সব পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পরে নির্দেশ মুলতুবি রাখেন বিচারক। আগামী ২০ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

এদিন বিচার ভবনে শান্তনুর আইনজীবী সওয়াল করার সময় বলেন, ইডির মামলায় প্রথম গ্রেপ্তার শান্তনু। কিন্তু জামিনের আবেদনের পরেই সিবিআই শান্তনুকে জেরা করতে শুরু করে এবং গ্রেপ্তার করে। অথচ যে ব্যক্তি শান্তনুকে অযোগ্য প্রার্থীদের থেকে টাকা তুলে দিয়েছেন, সেই গুণধর খাঁড়াকে সিবিআই এখনও গ্রেপ্তার করেনি। শান্তনুর আইনজীবীর অভিযোগ, এই মামলার তদন্তে ‘সিবিআই পিক এন্ড চুজ করছে।’

Advertisement

এদিকে সিবিআই পাল্টা সওয়ালে শান্তনুকে প্রভাবশালী বলে আদালতে দাবি করেছে। এজন্য তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, অভিযুক্ত শান্তনু শাসকদলের সদস্য। তিনি জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। যদিও শান্তনুর আইনজীবী সিবিআই-এর এই দাবির বিরোধিতা করেছে। তিনি বলেন, শান্তনু মোটেই প্রভাবশালী নন।

প্রসঙ্গত টেট দুর্নীতির তদন্তে নেমে তৃতীয় চার্জশিটের সঙ্গে একটি অডিয়ো রেকর্ডিং আদালতে পেশ করেছে সিবিআই। সেখানে ‘কালীঘাটের কাকু’, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে শান্তনুও ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, হুগলি ডিপিএসসি-তে প্রভাব ছিল শান্তনুর। সেই ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে অনেককে বেআইনিভাবে চাকরিতে সুযোগ করে দিয়েছেন। অভিযোগ, এই চাকরি বাবদ শান্তনু অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা তুলেছেন। শান্তনু সুজয়কৃষ্ণকে টাকা দিতেন। সুজয়কৃষ্ণ শান্তনুর থেকে টাকা পেয়েছেন। সেই সুজয়কে শুধুমাত্র শারীরিক কারণে জামিন দেওয়া হয়েছে। তাঁরা মামলার সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।

Advertisement