মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পেয়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্যপাল, বললেন গণতন্ত্রে এটাই কাম্য

জগদীপ ধনকড় (File Photo: IANS)

রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার হালহকিকত জানতে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। গত ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এব্যাপারে একটি চিঠি পাঠান তিনি। আর রাজভবন থেকে চিঠি পাবার পরেই মুখ্যমন্ত্রীও সৌজন্য দেখিয়ে চিঠির উত্তর দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পেয়েই রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া, গণতন্ত্রের এটাই দস্তুর সকলেই একসঙ্গে পথ চলা।

নবান্নসূত্রে খবর, চিঠি পাবার একদিন পরেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে উত্তর পাঠিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর লেখা চিঠিতে রাজ্যপালকে জানিয়েছেন, আপনার চিঠি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সময়মতাে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আপনার সঙ্গে দেখা করে নেবেন।

যাদবপুর থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত সমানে চলছে। আর এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও তুমুল সমালােচনার ঝড় উঠেছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নাম না করে রাজ্যপালকে বিজেপির প্রতিনিধি বলে কটাক্ষ করতেও দেখা গিয়েছিল। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে সমাবর্তনে ঢুকতে না পারায় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপালকে। বিক্ষোভের মুখে পড়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে ফোন করেন। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গােলমাল রুখতে না পারায় উপাচার্যকে কড়া কথাও শুনিয়েছিলেন তিনি।


আগামী ১৩ জানুয়ারি সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে কথা বলতে তাঁদের রাজভবনে ডেকেছেন আচার্য জগদীপ ধনকর। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাবী চিঠি পেয়ে রাজ্যপাল উচ্ছ্বসিত। সরকারের তরফে আলােচনার আগ্রহ দেখে তিনি সন্তুষ্ট।

রাজ্যপাল শনিবার এব্যাপারে একটি টুইট করেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে আমি একটি চিঠি পাঠিয়েছিলাম। গত ২৬ ডিসেম্বর তিনি চিঠির উত্তর পাঠিয়েছেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী আলােচনা করতে আসবেন। আমি সেই আলােচনার দিকে তাকিয়ে আছি। রাজ্যপাল তাঁর টুইটে আরও উল্লেখ করেছেন, গণতন্ত্রে সকলের উচিত একসঙ্গে পথ চলা। তবে আমি সন্তুষ্ট।

এদিকে রাজ্যপালের এই টুইট করা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, চিঠিটি গােপন ছিল। কিন্তু সেটা টুইট করেছেন রাজ্যপাল। রাজনৈতিক মহলের অবশ্য ধারণা, মুখ্যমন্ত্রীর জবাবী চিঠি পাবার পরে ধনকড়ের সঙ্গে সরকারের মতবিরােধিতা অনেকটাই কমবে।