তৃণমূলের ধর্ণা মঞ্চে মমতার সঙ্গে কেন উপাচার্যরা, জানতে চাইলেন রাজ্যপাল

এনআরসি এবং সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গত পাঁচদিন ধরে ধর্ণা চলছে রানি রাসমণি রােডে।

Written by SNS Kolkata | January 15, 2020 12:39 pm

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। (File Photo: IANS)

ফের নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির কড়া সমালােচনায় মুখর হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি বিকেলে ফের রানি রাসমণি রােডে ধর্ণামঞ্চে উপস্থিত হয়। খুব একটা কথা না বলেও প্রধানমন্ত্রীর নাম না করে বেলুড় মঠে যুবদিবসের এক অনুষ্ঠানে সংশােধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। আর বেলুড় মঠকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করায় প্রধানমন্ত্রীর সমালােচনায় মুখর হয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলি। তবে এদিন রানি রাসমণি রােড়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, একজন বলে গেছেন, এনআরসি কারাে নাগরিকত্ব কাড়বে না। প্রকৃত নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

তৃণমূল সুপ্রিমাের পাল্টা জবাব, বিজেপির মাদুলি পরা লােকদেরকেই নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা হবে। তৃণমূলের ধর্ণা মঞ্চে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মঙ্গলবার এনআরসি এবং সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গত পাঁচদিন ধরে ধর্ণা চলছে রানি রাসমণি রােডে।

মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমাে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিক মঞ্চে উপাচার্যদের উপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ্যপাল। এদিন শাসক দলের ধর্ণা মঞ্চে সিধাে-কানহু বিশ্ববিদ্যালয়, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সােমবারেই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ডেকেছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকাড়। কিন্তু নতুন বিধির বিষয়টি তুলে উপাচার্যদের গরহাজিরা থাকতে দেখা যায় বৈঠকে। আর উপচার্যদের ধর্ণা মঞ্চে উপস্থিতি নিয়ে সরকারের কাছে ব্যাখা চেয়েছেন রাজ্যপাল। নােবেলজয়ী অভিজিত বিনায়ক ব্যানার্জিকে সম্মানিক ডিলিট উপাধি দেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে রাজ্যপালকে না আমন্ত্রণ জানানাের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।