অজানা জ্বরে জলপাইগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গ জুড়ে পরপর শিশুমৃত্যুর ঘটনায় অস্বস্তিতে স্বাস্থ্য প্রশাসন। গত ২৪ ঘণ্টায় একই হাসপাতালে ৫ সদ্যোজাতের মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।
যদিও মৃত্যুর কারণ বা এই ঘটনা সম্পর্কে কোনও কিছুই বলতে চাইছে না জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতলের মাদার চাইল্ড হাব কর্তৃপক্ষ। এদিকে সদ্যোজাতের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বসলেন এক বাবা। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের মাদার চাইল্ড হাব।
Advertisement
এই হাসপাতালেই গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ সদ্যোজাতের মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছে পরিবার পরিজনরা। ঠিক কী কারণে এই মৃত্যু, কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত গাফিলতি রয়েছে কিনা, তার উপযুক্ত তদন্ত চেয়ে এদিন হাসপাতাল রোড অবরোধ মৃত শিশুর বাবা।
Advertisement
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় জলপাইগুড়িতে। যদিও এ নিয়ে মুখ খুলছে না সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল এক এক মৃত সদ্যোজাতের বাবা আঙুল তুলেছেন চিকিৎসকদের দিকে।
তাঁর অভিযোগ, হাসপাতালের গাফিলতি থাকলেও থাকতে পারে। সন্তানের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় বসে থাকা বাবা এক চিকিৎসকের নাম করে বলেন, ‘৩০ নভেম্বরের মধ্যে আপনাদের বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কিন্তু ১৯ তারিখ অ্যাডমিশনের পরই আমার বাচ্চা কী করে মারা যায়? এখন আমার একটাই প্রশ্ন, আমরা কি এভাবেই চলবে?’ কেঁদে ফেলেন তিনি।
এরপর ফেল বলেন, ‘আজকে আমার বাচ্চা মারা গেছে। কালও অন্যদের দুটো বাচ্চা মারা যাচ্ছে। প্রতিদিনই তো এমন ঘটনা ঘটছে। বিনা চিকিৎসায় কেন বাচ্চা মারা যাবে? কী দোষ করেছিল আমার মেয়ে? আমার ফুটফুটে মেয়েটা কেন মারা গেল? ফের ডুকরে কেঁদে ওঠেন তিনি।
এমনকি তার অভিযোগ, চিকিৎসকই নেই। তাই এ নিয়ে হাসপাতালে অভিযোগ করতে পারছেন না তিনি। থানাতেও যেতে পারছেন না। দীপক রায় নামে আরেক ব্যক্তির দাবি, তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গত ১৬ নভেম্বর।
২০ তারিখ ডেলিভারির ডেট দেওয়া হয়। তারপর গত ১৮ তারিখ আমার স্ত্রী একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু তার পরে চিকিৎসক জানান, আপনার বাচ্চার অবস্থা খারাপ। সেদিনই মারা গেল।
ওই ব্যক্তি দাবি করেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে দুটি যমজ শিশুও রয়েছে। যদিও এই শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে একদিনে এতগুলি শিশুমৃত্যুর খবর জানেনই না বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিক। তিনি জানান, অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত করা হবে।
Advertisement



