সােমবার কলকাতার হেস্টিংসে রাজ্য বিজেপি-র প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ-সহ মােট ৫ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যােগ দেন। সাতগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার সােনালি গুহ, বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস, হাওড়ার সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দার এবং হাওড়ার শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ি। পাশাপাশি সােমবার বিজেপি-তে যােগ দেন মালদহের সরলা মুর্মু।
প্রসঙ্গত তৃণমূল সরলাকে মালদহের হাবিবপুরে প্রার্থী করেছিল কিন্তু তারপরেই আসন পছন্দ না হওয়ায় বিজেপি-র সঙ্গে যােগাযােগ শুরু করে। সেটা জেনেই সোমবার তাঁকে সরিয়ে হবিবপুরে প্রদীপ বাস্কেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সরলাকে সরানাের কারণ হিসাবে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখানাে হয়েছে। সরলা মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য।
সোমবার সরলা ছাড়াও আরও ১৪ জন মালদহ জেলাপরিষদ তৃণমূলের সদস্য বিজেপি-তে এলেন। তার মধ্যে রয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল। এর ফলে সংখ্যার হিসেবে মালদহ জেলা পরিষদ তৃণমূলের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সােমবার সকলের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ।
দিলীপ বলেন, ‘এঁরা সকলেই রাজনীতিতে অভিজ্ঞ। সেই অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে। যােগদান পর্বে দিলীপ ঘােষের সঙ্গে ছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্য বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সাল থেকে সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মন্ত্রীও করা হয় তাঁকে। বর্তমানে দলের সঙ্গে অনেকটাই দূরত্ব তৈরি হয়েছে তাঁর। দ্বিতীয় দফার তৃণমূল সরকারে তিনি আর মন্ত্রিত্ব পাননি।
সম্প্রতি হুগলি জেলায় তৃণমূলের নেতা তথা হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার সঙ্গে তাঁর মতবিরােধ প্রকাশ্যে আসে। দ্বন্দ্ব মেটাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় খােদ মমতাকে। তার পর থেকেই রবীন্দ্রনাথ বিজেপি-তে যােগ দিতে পারেন বলে জানা তৈরি হয়।
এদিন যােগ দিলেন বিজেপিতে। আর সেটা হল তাঁর বরাবরের কেন্দ্র সিঙ্গুরে তাঁরই বিরােধী হিসেবে পরিচিত বেচারামকে প্রার্থী করার পর। বেচারামের আগের কেন্দ্র হরিপালে তাঁরই স্ত্রী করবী মান্নাকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে। এদিন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তীও বিজেপিতে যােগ দিলেন।
