রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে ত্রিপুরাতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ফিরহাদ হাকিমের সভামঞ্চ শনিবার ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ত্রিপুরা পুর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পারদ ক্রমশ চড়ছে।
পুর ভোটের আগে প্রতিদিনই রাজনৈতিক অশান্তিতে তপ্ত হয়ে উঠছে ত্রিপুরা। তৃণমূলকে প্রচারে বারবারই বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এ রাজ্য থেকে একাধিক রাজ্য নেতারা ত্রিপুরার মাটি কামড়ে রয়েছেন। আর তাদেরই বার বার আক্রান্ত হতে হচ্ছে।
Advertisement
শনিবার সন্ধেবেলা আগরতলায় এ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সভার আগেই বড়সড় হামলা চলল। তার সভামঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে, আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
অন্যদিকে, বাবুল সুপ্রিয় সেখানে পা রাখতেই দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়লেন। এদিনই রামনগরে তার গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হল। সমস্ত ঘটনায় কাঠগড়ায় বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা।
ত্রিপুরায় পা রেখে জনসভা থেকে বিপ্লব দেবের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। বলেছিলেন, ‘এখানে একটা মারলে ওখানে ৫ টা মারব।’ অর্থাৎ ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর হামলার পাল্টা বাংলায় হবে।
সন্ধেবেলা ১০ নং ওয়ার্ড এলাকায় তার সভা ছিল প্রার্থী পান্না দেবের সমর্থনে। অভিযোগ, বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা সভামঞ্চ ভেঙে, বিদুতের তার ছিঁড়ে বাধা দেওয়া হয়। প্রহৃত হন প্রার্থী পান্না দেব নিজেও।
সভায় হাজির থাকা তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে বিজেপির ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় সিআরপিএফ জওয়ানদের।
সভামঞ্চে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, কুণাল ঘোষ। ঘটনায় তারা ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন। এদিকে, শনিবার দুপুরের দিকে বাবুল সুপ্রিয় আগরতলার রামনগরে যাচ্ছিলেন ভোটের প্রচারে। কিন্তু বাধার মুখে পড়েন তিনি।
অভিযোগ, বিজেপির একদল কর্মী, সমর্থকরা তার গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান, স্লোগান তোলেন। গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
কিন্তু তাতেও সুরাহা হয়নি। বিক্ষোভের আঁচ ক্রমশ বাড়তে থাকা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় রামনগর ফাড়ির পুলিশ। তারাই তৃণমুল নেতাকে অশান্তকর পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করে।
Advertisement



