• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মাকে কটাক্ষ ফিরহাদের

মৃত চিকিৎসকের বাবার উদ্দেশে তিনি বলেন, উনি এখন যেটা করছেন সেটা রাজনীতি। যাঁদের পাল্লায় পড়ে এটা করছেন সেটা ঠিক না।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।

আরজি করের নির্যাতিতার বাবার রায় নিয়ে বক্তব্য, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ মন্ত্রীও। রায়ের কপিটা অবিলম্বে ওঁর পড়ে, বুঝে, গোটা ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। আমরা কারও চক্রান্তের ফাঁদে পা দিইনি। শিয়ালদহ কোর্ট যা রায় দিয়েছে, তাতে আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, মুখ্যমন্ত্রিত্বের অধিকার হারিয়েছেন মমতা।”

এই মন্তব্যের পাল্টা ফিরহাদ হাকিম তাঁদের এক্তিয়ার বুঝিয়ে দিয়ে বলেন, “ওঁদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতি রয়েছে আমাদের। কিন্তু যেটা করছেন সেটা রাজনীতি। মেয়ের শোকে তাঁদের এমন কিছু বলা উচিত না যা ওঁদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না।” মৃত চিকিৎসকের বাবার উদ্দেশে তিনি বলেন, “উনি এখন যেটা করছেন সেটা রাজনীতি। যাঁদের পাল্লায় পড়ে এটা করছেন সেটা ঠিক না। মুখ্যমন্ত্রী ওঁর দয়ায় বা যে বামপন্থী দলগুলো রয়েছে, তাদের দয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীত্বের পদে বসে নেই। বাংলার মানুষ চেয়েছেন বলে উনি সেই চেয়ারে বসে আছেন।”

Advertisement

মৃতের পরিবারের কাছে অনুরোধ রাখেন, তাঁরা যেন নিজেদের এক্তিয়ারের মধ্যে থাকেন। জানান, তিনি নিজেও অত্যন্ত বিচলিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে ভাবে তদন্ত করেছে সেই পদ্ধতি নিয়ে। উল্লেখ্য ,শনিবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও সাংবাদিক বৈঠক করে নির্যাতিতার মা-বাবাকে নিশানা করে বলেন “কেন মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন ওঁরা? মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ তো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীকে ধরেছে! তাঁরা কিছু অন্ধ, তৃণমূল বিরোধী, বাম-অতিবাম এবং চক্রান্তকারীর কথায় বিভ্রান্ত হয়ে সমানে অবস্থান বদলে চলেছেন।”

Advertisement

আরও বলেন, “আমরা বিস্মিত, মেয়ের মৃত্যুতে যে বাবা-মার বুক ভেঙে গিয়েছে, সেই দিন থেকে বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে রোজ স্নায়ু ধরে রেখে এক-একদিন এক-এক রকম বিবৃতি দিয়ে যাওয়া কী করে হতে পারে! আমরা কান্নার ছবি দেখতে পেলাম না, বুকফাটা আর্তনাদের যে ছবি দেখে থাকি… প্রথম দিন থেকে ইস্পাত কঠিন ভাবে এঁরা সাংবাদিকদের নানা কথা বলে গেলেন। কেউ কানে মন্ত্র দিচ্ছে। যারা চক্রান্তকারী, তাদের মুখপাত্র হয়ে গিয়েছেন এই অভয়ার মা-বাবা। পূর্ণ সম্মান দিয়েই বলছি।”

Advertisement