সারা দেশে গরিবদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রভাব কী? সাধারণ জনগণের কি আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে? সরকারের অর্থ খরচের আদৌ কোনও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে কিনা? খাদ্যমন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়ে এই প্রশ্নগুলির রিপোর্ট জানতে চেয়েছে অর্থমন্ত্রক। চিঠিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ওই কোনও ধরনের দায়সারা জবাব দেওয়া যাবে না। আরও বলা হয়েছে, কোনও অস্পষ্ট উত্তরও যেন না দেওয়া হয়। উত্তর দেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ বলেও অর্থমন্ত্রক ওই চিঠিতে উল্লেখ করেছে।
সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, চাপ এসেছে লোকসভার সচিবালয় থেকে। অর্থমন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি যে প্রস্তাব-সহ রিপোর্ট সংসদে জমা করেছে, তার কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে লোকসভার সচিবালয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, এবার কি সরকার গরিবদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়া বন্ধ করে দেবে?
Advertisement
‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’য় দেশের প্রায় ৮০ কোটি গরিব মানুষকে বিনামূল্যে চাল-গম দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্প ‘জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা’ আইনের আওতায় পড়ে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গ্রামাঞ্চলে জন প্রতি মাসে গড়ে খরচ ৪ হাজার ১২২ টাকা, শহরাঞ্চলে তা ৬ হাজার ৯৯৬ টাকা। কিন্তু, নীতি আয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী, বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সমীক্ষায় (মাল্টিডায়মেনশনাল পোভার্টি ইন ইন্ডিয়া) গত এক দশকে গোটা দেশে ২৪ কোটি ৮২ লক্ষ মানুষ আর গরিব নয়। তারপরেও দেশে ৮০ কোটি মানুষকে ফ্রি রেশন দেওয়ায় ভারতীয় অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়ছে, তা নিয়েই সরকারের ভিতরে কৌতূহল বাড়ছে।
Advertisement
ভারতের গরিবদের বিনামূল্যে রেশন উদ্যোগটি গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতেও কোনও প্রভাব পড়েছে কি? তা জানতে চায় অর্থমন্ত্রক। সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এক রিপোর্টে বলেছে, ‘সরকারের স্লোগান হল সব কা সাথ, সব কা বিকাশ, সব কা বিশ্বাস, সব কা প্রয়াস।’ কিন্তু এই স্লোগান সার্থক হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। তাই বিনামূল্যে রেশনের প্রভাব কতটা, তা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলেই কমিটির মত। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রকের চিঠি খাদ্যমন্ত্রককে।
Advertisement



