রাজ্যপালকে সরাতে আগেও ‘স্বতন্ত্র প্রস্তাব’ এসেছিল বাংলা থেকে

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। (File Photo: IANS)

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে যে ‘স্বতন্ত্র প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে তা নজিরবিহীন নয়। সালে কমিউনিস্ট পার্টির সাংসদ ভূপেশ গুপ্ত পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন রাজ্যপাল ধরমবীরের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব রাজ্যসভায় এনেছিলেন।

এখন জগদীপ ধনকড়কে নিয়ে যে পরিস্থিতি চলছে, কার্যত একই পরিস্থিতি ধরমবীরকে নিয়ে হয়েছিল যুক্তফ্রন্ট সরকারের। তিনি সম্পূর্ণভাবেই নিজের মতো চলেছিলেন। সরকার ফেলে দিয়েছিলেন।

এরপর পশ্চিমবঙ্গ থেকেই এই ধরনের ‘স্বতন্ত্র প্রস্তাব’ উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংয়ের বিরুদ্ধে এনেছিলেন বর্তমান তৃণমূল সাংসদ, বর্ষীয়ান রাজনীতিক সুখেন্দুশেখর রায়। কল্যাণ সিং তখন রাজস্থানের রাজ্যপাল। তিনি ‘জনগণমন’ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন।


তিনি বলেছিলেন, ‘পঞ্চম জর্জকে খুশি করতেই রবীন্দ্রনাথ জনগণমন গেয়েছিলেন। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যসভায় সুখেন্দুবাবুর আনা ‘স্বতন্ত্র প্রস্তাব’ নিয়ে প্রথম নরেন্দ্র মোদি সরকারে বিস্তর জলঘোলা হয়। সরকার বিষয়টি চেপে দেওয়ার চেষ্টা করে।

কিন্তু সুখেন্দুবাবু ছিলেন নাছোড়। তিনি এত সুন্দর বিষয়টি ড্রাফট করেছিলেন, ব্যক্তিগত স্তরে তাঁকে সাধুবাদ দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এর পর প্রয়াত অরুণ জেটলি সুখেন্দুবাবুকে অনুরোধ করেন, বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে।

এ ব্যাপারে তৃণমূল সাংসদ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘সবটাই ইতিহাস। তবে এটা ঠিক, প্রণবদা আমার ড্রাফটের প্রবল প্রশংসা করেছিলেন। জগদীপ ধনকড় রাজ্যপালের আসনে যা করছেন, তা খুবই উদ্বেগের। উনি মুখ্যমন্ত্রী ও স্পিকারকে মানছেন না।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দ্যাট লেডি’ বলেছিলেন। এ তো পাকিস্তানের ভুট্টোর কণ্ঠস্বর। ইন্দিরা গান্ধি সম্পর্কে উনি ‘দ্যাট উওম্যান’ বলেছিলেন।