মৃত ভোটারদের তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

মৃত ভোটারদের তথ্য যাচাই নিয়ে সক্রিয় হয়েছে নির্বাচন কমিশন। কীভাবে মৃত ভোটারের সংখ্যা যাচাই করতে হবে তা নিয়ে রাজ্যের এসআইআর পর্যবেক্ষক এবং জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (ডিইও)-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভায় নথিভুক্ত মৃত্যুর তথ্য যাচাই করতে হবে। এলআইসি, ব্যাঙ্ক, কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত মৃতদের তথ্য যাচাই করতে হবে। সরকারি প্রকল্পের ডাটাবেস, যেমন—সমব্যাথী, বার্ধক্যভাতা, কৃষকদের বিভিন্ন স্কিম ইত্যাদিতে থাকা
মৃত্যুর তথ্যও যাচাই করতে হবে। এছাড়াও রেশন কার্ড জমা দেওয়া সংক্রান্ত তথ্য (ফুড ডিপার্টমেন্টে জমা হওয়া রেশন কার্ড), শ্মশান, কবরস্থান, দাহস্থলের রেকর্ড তথ্য, পারিবারিক পেনশনের তথ্য এবং অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে মৃতদের তথ্য নিশ্চিত করতে হবে। ইআরও–দের এই সব সোর্স থেকে মৃতদের তথ্য সংগ্রহ করে তালিকা তৈরি করতে হবে এবং তা ডাটাবেসে ‘ডেড মার্কড’ হওয়া নামগুলির সঙ্গে মিলিয়ে ক্রস-চেক করতে হবে।
ডিইও দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে বলা হয়েছিল, রাজ্যের ২২০৮টি বুথে গত এক বছরে কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়নি। পাশাপাশি এই সব বুথ থেকে কেউ অন্যত্র স্থানান্তরিতও হননি। এই তথ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় জেলাগুলির কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করে কমিশন। পরে এই রকম বুথের সংখ্যা কমে সাতে নেমে আসে।
উল্লেখ্য, এসআইআর–এর কারণে রাজ্যে ৫০ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়তে চলেছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, ম্যাপিং-এ রাজ্যের ৫২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬৩৩ জন ভোটারের হদিশ মেলেনি।
অর্থাৎ তাঁরা আন–কালেক্টেবল ভোটার। তাঁদের মধ্যেই মৃত ২৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৫ জন, স্থানান্তরিত ১৮ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩০২ জন, অনুপস্থিত ৯ লক্ষ ৪২ হাজার ১৬২ জন এবং অন্যান্য ৩১ হাজার ৮০১ জন, ডুপ্লিকেট ভোটার ১ লক্ষ ২২ হাজার ৩০৩ জন। মৃত ২৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৫ জনের তথ্য তথ্য যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।