ভবানীপুর-সহ রাজ্যের ৩ কেন্দ্রের নির্বাচনের দিন ঘােষণা হতেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘােষ। তিনি দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশন প্রভাবিত হয়েছে। কারও চাপে ভােটের দিন ঘােষণা করেছে কমিশন।
রাজ্য বিজেপি সভাপতির দাবি, এই মুহূর্তে রাজ্যে উপনির্বাচনের পরিবেশ নেই। এখনও করােনা যায়নি। লােকাল ট্রেন চলছে না। স্কুল-কলেজ বন্ধ। তাছাড়া এখনও ভােটপরবর্তী হিংসা চলছে। রাজ্যে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। নির্বাচন কমিশন কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভােট ঘােষণা করেছে।
Advertisement
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, এবার নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যে অবাধে প্রচার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এতদিন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোেগ তুলত বিরােধীরা।
Advertisement
এবার বিজেপি নেতার মুখেই শােনা গেল অভিযােগের সুর। বিজেপি কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরােধিতা করলেও বামেরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, আমরাও চেয়েছিলাম সময়মতাে উপনির্বাচন হােক। এরাজ্যে সময়মতাে উপনির্বাচন হওয়ায় রেওয়াজ। বাম আমল থেকে তাই হয়ে আসছে।
যদিও সুজনবাবু পুরভােট নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, উপনির্বাচন তাে হবে, কিন্তু পুরভােট কবে? তিন বছর ধরে পুরভােট বকেয়া পড়ে আছে। এবার পুরভােট করাতে হবে রাজ্য সরকারকে।
তৃণমূল বলছে , এটাই রাজ্যে উপনির্বাচনের আদর্শ সময়। তৃণমূল নেতা সৌগত রায়ের বক্তব্য, রাজ্যের যে চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি রয়ে গেল, সেগুলিতেও দ্রুত ভােট হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন ঘােষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে ভােট হবে বিধানসভা নির্বাচনে বাদ থাকা মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র জঙ্গিপুর এবং সমশেরগঞ্জেও। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ পুজোর আগেই রাজ্যের এই ৩ কেন্দ্রে ভােটগ্রহণ। ফল ঘােষণা আগামী ৩ অক্টোবর।
Advertisement



