বাংলার নির্বাচনে অনুপমের কাঁধে চাপল ভােটের দায়িত্ব

অনুপম হাজরা (ছবি: IANS)

আগেই অনুপম হজরা কে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক পদে স্থান দিয়েছিল দল। এবার বাংলার নির্বাচনে অনুপমের কাঁধে গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দলের কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলল প্রাক্তন সাংসদ বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা কে।

এদিন রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গেছে অনুপম হাজরা কে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো কমিটিতে স্থান দেওয়া হল। সেই সঙ্গে তাকে দলের সামাজিক-ধার্মিক নামে একটি কমিটিতেও গুরু দায়িত্ব দেওয়া হলাে অনুপম হাজরা কে।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের ব্যানারে অনুপম হাজরা বােলপুর লােকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন লােকসভা নির্বাচনে। তারপর তার সঙ্গে তৃণমূলের দুরত্ব ক্রমশ বাড়তে বাড়তে একসময় দড়ি ছিড়ে যায়। সাংসদ পদে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি আর তৃণমূলে না থেকে যােগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। তারপর একের পর এক দলে গুরুদায়িত্ব পেতে থাকেন তিনি। প্রথমেই তাকে বিগত লােকসভা নির্বাচনে যাদবপুর লােকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছিল। যদিও তিনি সেখানে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও দল তার উপর ভরসা হারায়নি। একের পর এক তাকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়।


বিজেপি সূত্রে জানা গেছে প্রথমেই তাকে দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক পদে গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখনও তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক পদে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এরপর গত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে অনুপম হাজরা কে বিহারে সহ প্রভারি দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিহারে বিজেপির জয়ের পর দলের কাছে প্রাক্তন সাংসদ এর দায়িত্ব আরাে বেড়ে যায়। এরপর তাকে বাংলার সামাজিক সমূহ নামে একটি কমিটির সদস্য করা হয়।

বর্তমানে তাকে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব দেওয়া হল তা হল নির্বাচনের ম্যানিফেস্টো কমিটি। নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে কমিটির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ন। সেই সঙ্গে তাকে আরাে একটি কমিটি যার নাম হল সামাজিক-ধার্মিক কমিটি সেখানেও দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিজেপির মতে এই কমিটির মূল দায়িত্ব হলাে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিজেপি মুখি করা।

বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার বক্তব্য, আমাকে সেই যােগ্য মনে করেছে দল। আমি দলের তরফে দেওয়া শুরুদায়িত্ব আগেও একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে পালন করে এসেছি আর ভবিষ্যতেও করব। বাংলায় তৃণমূলকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করা টাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। বাংলার মানুষ খুব আতঙ্কে আছে। তাই তৃণমূল কে পরাজিত করে বাংলার মানুষকে শান্তির ঘুম আমরা উপহার দেব। সেই সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির বাংলাকে মােদিজীর হাতে উপহার হিসেবে আমরা তুলে দেবাে।