নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় কাকদ্বীপের আটটি ট্রলার সাসপেন্ড , তিন মাস সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া যাবে না

পনেরো এপ্রিল থেকে চোদ্দই জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবার নিষেধাজ্ঞা আছে মৎস্য দফতর থেকে মাছেদের প্রজননের সময় বলে।

এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাব্বীপের সাতটি ট্রলার ও রায়দিঘির একটি ট্রলার জুন মাসের প্রথমেই সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে চলে যায়, আগে গিয়ে বেশি মাছ পাবার লোভে। লোভী ট্রলারগুলি চিহ্নিত করে উপকূল রক্ষী বাহিনী। খবর যায় মৎস্য দফতরে।

জেলা মৎস্য দফতর (সামুদ্রিক) আটটি ট্রলার মালিককে শোকজ করে। শুক্রবার শোকজ এর উত্তর ট্রলার মালিকরা দিলেও তা সন্তোষজনক না হওয়ায় তিন মাসের জন্য ট্রলার গুলিকে সাসপেন্ড করা হল।


মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গেল , কাব্বীপের এম ভি অমরেশ্বর, এম ভি পারমিতা, এম ভি বর্গভীমা, এম ভি সপ্তর্ষিনারায়ণ, এম ভি সুস্মিতা, এম ভি পুষ্পবর্তী, এম ভি মঙ্গলচন্ডী ও রায়দিঘির ট্রলার মা সারদা ইলিশের ভরা মরশুমে তিন মাস মাছ ধরতে সমুদ্রে যেতে পারবে না।

মৎস্য দফতরের কঠোর সিদ্ধান্তে খুশি কয়েক হাজার মাছ ধরার ট্রলার মালিক ও মৎস্যজীবী সংগঠনে যুক্ত জেলার মৎস্যজীবীরা। ইলিশের খরা চলছে পর পর চার বছর। মাছ মায়েরা শান্তিতে ডিম না পাড়তে পারলে ডিম ফুটে মাছ বড়ো হবার সময় না দিলে জলের রুপোলী ফসল কী করে ভাতের পাশে আসবে। অত এর নিয়ম মানতেই হবে। নাহলে বরাবরের জন্য সমুদ্রে ভাসবার লাইসেন্স বাতিল হোক।

কয়েক জনের জন্য হাজার হাজার ট্রলার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরতে বেরিয়ে খালি হাতে ফিরে আসবে এ হতে পারে না। বেশ কয়েক দিন হয়ে গেল খালি ট্রলার ফিরছে। ইলিশের সেভাবে দেখা নেই। সমুদ্র উত্তাল।

তবুও আশায় বসে মৎস্য বন্দরের কাছে সারি সারি ট্রলার। আবহাওয়া ভালো খবর এলেই দল বেঁধে পাড়ি দেবে গভীর সমুদ্রে ইলিশের সন্ধানে।