আজ রাতেই সব এনুমারেশন ফর্ম আপলোডের কঠোর নির্দেশ কমিশনের

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

এনুমারেশন ফর্ম আপলোডের সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১১ ডিসেম্বর করা হলেও মঙ্গলবারই বুথ লেভেল আধিকারিকদের জন্য কঠোর নির্দেশ জারি করল নির্বাচন কমিশন। নতুন সেই নির্দেশে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, বিএলওদের হাতে থাকা সমস্ত গণনা ফর্ম মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যেই আপলোড করতে হবে। আর ৩ ডিসেম্বর থেকে সংগ্রহ করা প্রতিটি ফর্ম ওই দিনেই আপলোড করা বাধ্যতামূলক।

কমিশনের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত ফর্ম সংগ্রহ করেছেন বিএলওরা, সেগুলির একটিও যেন আজকের পরে বকেয়া না থাকে। ২ ডিসেম্বরের পর থেকে যেদিন যে ফর্ম সংগ্রহ করা হবে, সেগুলি সেই দিনেই আপলোড করতে হবে। কোনওভাবেই ‘ব্যাকলগ’ রাখা চলবে না। আর ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে যে ফর্ম আপলোড বাকি থাকবে, তা ‘আনকালেক্টেবল’ হিসেবে গণ্য হবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নতুন নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, আপলোডিংয়ের সময় কোথাও ভুল বা ত্রুটি হলে তা সংশোধনের জন্য বিএলওদের ‘এডিট’ ট্যাব পুনরায় চালু করা হয়েছে। যদিও কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, এই অপশন আগেও ছিল, মাঝে কয়েকদিন বন্ধ ছিল মাত্র। এই সুবিধা ফিরে আসায় বিএলওদের ডেটা খতিয়ে দেখতে সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।


যদি কোনও তথ্য অস্থায়ী কর্মী পূরণ করে থাকেন, তবে তা বিএলওদের আবার যাচাই করতে হবে। ভুল থাকলে দায় সম্পূর্ণভাবে তাঁদের ওপরই বর্তাবে বলে জানিয়েছে কমিশন। বিশেষত ২০০২ সালের এসআইআর তালিকায় যাঁদের বয়স ৬০ বা তার বেশি ছিল, তাঁদের তথ্য অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় অভিভাবক হিসাবে যাঁদের নাম রয়েছে, কিন্তু বিএলও ম্যাপিংয়ে যার সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে না, সেই সব তথ্যও ফের পরীক্ষা করতে হবে। ২০০২ সালের তালিকায় অভিভাবকের নামের সঙ্গে ভোটারের বয়সের ব্যবধান যদি ৪৫ বছরের বেশি বা ১৮ বছরের কম হয়, তাও যাচাই করা বাধ্যতামূলক।

আবার বাড়িতে অনুপস্থিত কোনও ভোটারের হয়ে পরিবারের কেউ ফর্মে সই করলে, বিএলওকে সরেজমিনে গিয়ে অথবা ফোনে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হতে হবে তিনি বাস্তবিকই ওই এলাকায় থাকেন কি না। তিনি দেশের অন্য কোনও অংশের ভোটার কি না, তাও খতিয়ে দেখতে হবে।

এদিকে ২০২১ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত বুথগুলির তথ্য বিশেষভাবে পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জন্ম-মৃত্যু পোর্টাল, মৃত্যু রেজিস্ট্রার বা রেশন কার্ড বাতিলের তালিকা ব্যবহার করে মৃত ভোটারের তথ্য ইআরও যাচাই করবেন। কোনও বুথে মৃত ভোটারের সংখ্যা শূন্য বা ২০-এর মধ্যে হলে, সেই বুথগুলির তথ্য নতুন করে পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।

এই সমস্ত বিষয়ে সপ্তাহের শেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। এর আগে রবিবার কমিশন জানায়, এসআইআর প্রক্রিয়ার সময়সীমা সাত দিন পিছিয়েছে। এনুমারেশন ফর্ম আপলোডের সময়সীমা ৪ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে ১১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে ১৬ ডিসেম্বর, আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।