প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ আজ, বুধবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করবে। দুপুর ২টোয় এই রায় ঘোষণা হবে।
২০১৪ সালের ‘টেট’-এর ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে প্রায় ৪২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলা ওঠে হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের মে মাসের ১২ তারিখ ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে চাকরিচ্যুত হন অপ্রশিক্ষিত ৩২ হাজার শিক্ষক। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়।
প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় ছিল, চাকরি বাতিল হলেও ওই শিক্ষকরা স্কুলে যাবেন। তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সেখানে যোগ্য এবং উত্তীর্ণদের চাকরি বহাল থাকবে। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে। তবে বিচারপতিরা জানান, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
হাইকোর্টের ওই দুই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য ও পর্ষদ। শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান চাকরিহারাদের একাংশও। তাঁদের দাবি ছিল, সব পক্ষ সিঙ্গল বেঞ্চে বলার সুযোগ পায়নি। এর প্রেক্ষিতে সেই বছরই সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চকে সব পক্ষের বক্তব্য শুনতে নির্দেশ দেয়। এরপরে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে যায় মামলাটি। ১২ নভেম্বর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়। সেই সময় রায় স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্ট। আজ সেই মামলার রায় করবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।