দ্রুত তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিযোগকারী বলেন, ‘প্রধান প্রায় ৫৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আবার ভুয়ো বিল দেখিয়ে টাকা তুলেছেন। স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে পঞ্চায়েত পরিচালনা করছেন।’ সুরজিৎ মালদাস নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘বিডিওর কাছে প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। দলকেও জানানো হয়েছে।’ এই নিয়ে দীনবন্ধুকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ম্যাসেজেরও কোনও জবাব দেননি। বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, ‘কোনও বিজেপি কর্মী অভিযোগ করেনি। এটা তৃণমূলের চক্রান্ত।’
নন্দীগ্রাম-১ তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য সেখ সুফিয়ান বলেন, ‘বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলো দুর্নীতির আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে। এলাকার মানুষের কাছে বিজেপির দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। মানুষ ভোট বাক্সে জবাব দেবে।’ নন্দীগ্রাম-১ বিডিও নাজিরুদ্দিন সরকার বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তার প্রেক্ষিতে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে।’ ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তার আগে নন্দীগ্রামের মতো এমন হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে একের পর এক দ্বন্দ্ব বিজেপি শিবিরে অস্বস্তি বাড়াবে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।