আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় অন্যতম দুই প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল ও বিজেপি। দু’দলেরই প্রার্থীতালিকা নিয়ে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। বাংলার ২৯৪ আসনে প্রার্থী তালিকা নিয়ে আজ দলের নির্বাচন কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমাে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ নিয়ে এবার শাসকদল তৃণমূলকে বিধলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ। তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রসঙ্গে দিলীপের কটাক্ষ, ‘২০১৯ সালে সবচেয়ে আগে তালিকা বের করেছিল। কিন্তু, ফলাফলে দেখা গিয়েছে হাফ ডজন সিট কমে গিয়েছে। শাসকদল ওরা, আগে প্রার্থীতালিকা ঘােষণা করতেই পারে। তবে এতে কোনও লাভ হবে না।’
উল্লেখ্য, বাংলায় আট দফা নির্বাচনের সূচি ঘােষণা করেছে কমিশন। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফায় ভােটগ্রহণ হবে ২৭ মার্চ। দ্বিতীয় দফায় ভােট ১ এপ্রিল, তৃতীয় দফার ভােটগ্রহণ ৬ এপ্রিল, চতুর্থ দফা ১০ এপ্রিল, পঞ্চম দফার ভােট ১৭ এপ্রিল, ষষ্ঠ দফার ভােট ২২ এপ্রিল, সপ্তম দফা ২৬ এপ্রিল এবং অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফার ভােট ২৯ এপ্রিল। একুশের মহাযুদ্ধে নীলবাড়ির দখল কার হাতে থাকছে, তা জানা যাবে আগামী ২ মে।
আট দফায় ভােটগ্রহণ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘কাকে সুবিধে করে দিতে এই সুচি! দক্ষিণ ২৪ পরগণায় আমাদের জোর বেশি তাই কি সেখানে তিন দফায় ভােট?’
প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘অসমের মতাে রাজ্যে তিন দফায় ভােট। তামিলনাড়ুতে ২৩৪ আসনে একদিনে বিধানসভা ভােট, সেখানে বাংলার ২৯৪ আসনে হঠাৎ আট দফায় ভােটের সিদ্ধান্ত কেন? এই ভােট সুচি কি নরেন্দ্র মােদি, অমিত শাহ’র কথায় হয়েছে?’ ভােটে সূচি দেখে এমন প্রশ্নও তুলেছেন তৃণমূলনেত্রী। সেই সঙ্গে মমতার হুঁশিয়ারি, ‘খেলা হবে, হারিয়ে ভূত করে দেব।’
প্রসঙ্গত, উনিশের লােকসভা নির্বাচনে বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছিল ঘাসফুল শিবির। কিন্তু, ভােটের ফলে প্রায় অর্ধেক আসন কমে গিয়েছিল তৃণমূলের। অন্যদিকে, ১৮ টি আসন জিতে বাংলায় অভূতপূর্ব সাফল্য পায় বিজেপি।