এসআইআর আতঙ্কে শনিবার কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন হুগলির ধনেখালির আশা সোরেন। শুধু নিজে খাননি, ৬ বছরের শিশুকন্যাকেও বিষ খাইয়েছিলেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল মা ও মেয়েকে। শেষরক্ষা হল না। সোমবার মৃত্যু হল হুগলির বছর সাতাশের ওই মহিলার। তবে তাঁর সন্তানের অবস্থা স্থিতিশীল বলে খবর।
ধনেখালির সোমসপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কানানদীর বাসিন্দা ছিলেন আশা সোরেন। বছর দশেক আগে হরিপালে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। শ্বশুড়বাড়িতে অশান্তির জেরে বছর ৫-৬ আগে বাপের বাড়ি চলে আসেন। বাপের বাড়ির সদস্যরা এনুমারেশন ফর্ম পান।
Advertisement
একমাত্র আশাদেবী এনুমারেশন ফর্ম পাননি। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই তাঁর। ফলে সেখানে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হয়েছে কি না, তা জানতে পারেননি তিনি। এ সব নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। মানসিক অবসাদেও ছিলেন। সেখান থেকেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে দাবি পরিবারের।
Advertisement
শনিবার সকালে প্রথমে ধনিয়াখালি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল আশা এবং তাঁর মেয়েকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার সেখানেই মৃত্যু হয়েছে আশার।
আশার দাদা অমর মুর্মু জানিয়েছেন, ‘বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই ভোটার তালিকায় বোনের নাম ছিল। এখানে কিছু না-থাকায় ও এসআইআর ফর্ম পায়নি। আমি বলেছিলাম অনলাইনে বার করে নিতে। খুবই দুশ্চিন্তায় ছিল কী হবে এই ভেবে।’
মহিলার বাপের বাড়িতে রবিবার গিয়েছিলেন ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র। তিনি বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি জানার পরেই দু’জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। সব রকম সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। আমরা পরিবারের পাশে আছি।’
Advertisement



