নিন্দা করেও হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়. (Photo: IANS)

হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে সোমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হল।

হাঁসখালির নির্যাতিতার মৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুনেছি মেয়েটির সঙ্গে ছেলেটির লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল, ইজ ইট আ ফ্যাক্ট? নাকি একে রেপ বলবেন?

হাঁসখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের সোমবার তীব্র সমালোচনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও বাম কংগ্রেস দলের সুজন-অধীরও।


আজ মঙ্গলবার হাঁসখালি যাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা অন্যদিকে রাজ্যপালও হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে তলব করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে।

সোমবার নবনির্মিত মিলন মেলা প্রাঙ্গনের উদ্বোধন করে মঞ্চ থেকেই হাঁসখালির ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ঘটনাটিকে রেপ বলবেন, নাকি প্রেগনেন্ট বলবেন নাকি লাভ অ্যাফেয়ার বলবেন?

মেয়েটির শরীর অসুস্থ ছিল নাকি কেউ ধরে মেরেছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটি কী তা জানতে? তবে যাই হোক, ঘটনাটি খারাপ।’ এরপরই নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ দায়ের করা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন মমতা।

তিনি বলেন, গত ৫ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটেছে, তা ১০ তারিখে জানানো হল কেন? যদি কারও অভিযোগ থাকত তাহলে ৫ তারিখেই অভিযোগ দায়ের হল না কেন?

কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন এর তদন্তের জন্য কোনও তথ্যপ্রমাণ কীভাবে জোগাড় করবে পুলিশ?

এদিকে সোমবারই হাঁসখাল ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে সিবিআই তদন্তের দাবিতে।

ঠিক সেইদিনই মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে বললেন, মেয়েটির লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল। বাড়ির লোকেরা সেটা জানত প্রতিবেশিরাও জানত। এখন কোনও ছেলেমেয়ে যদি প্রেম করে, সেটা আমার পক্ষে আটকানো সম্ভব নয়।

এটা কি উত্তরপ্রদেশ, যে আমরা লাভ জেহাদ নিয়ে আলোচনা করব? তা সত্ত্বেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

কোনওরকম রং না দেখেই তদন্ত করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ালার পরিবার তৃণমূলের সক্রিয় সদস্য ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

সে প্রসঙ্গে মমতার সাফাই কারও বাবা-দাদা যদি তৃণমূল করে, আর সেই পরিবারের ছেলে যদি প্রেম করে, তাহলে কার কী করার আছে? আর বাংলার সবাই তৃণমূল। তাহলে ঘটনাকে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে তৃণমূলকে ধরে টানা হচ্ছে কেন?