মৃত্যু বেড়ে ৯, দুর্ঘটনাগ্রস্ত লাইনে বন্ধ ট্রেন চলাচল

প্রতীকী ছবি (File Photo: SNS)

বৃহস্পতিবার বিকেল ময়নাগুড়ির কাছে ওয়াহাটিগামী বিকানের এক্সপ্রেস উলটে লাইনচ্যুত হয় বেশ কয়েকটি বগি। প্রাথমিক অনুমান, লাইনে ফাটল থাকায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯। জখম এখনও পর্যন্ত ৪৩।

তবে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাতভর উদ্ধারকাজের পর সকালেও তা চলছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগিগুলিকে রেলট্র্যাক থেকে সরানোর কাজ করছে রেলের উদ্ধারকারী দল। ওই লাইন দিয়ে এখন ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার খবর পেয়েই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়।

প্রশাসন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে নানাভাবে উদ্ধারকাজে লাগান সকলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেখানকার প্রশাসনিক কর্তা থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব সকলেই হাজির হন দুর্ঘটনাস্থলে। প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ১২ টি বগি থেকে ২-৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।


কিন্তু রাতে এই সংখ্যা বেড়ে যায়। জখম অবস্থায় যাঁদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল, সেখান থেকে মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সরকারি সূত্র অনুযায়ী ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার ভোরেই ময়নাগুড়ির দোমোহনি এলাকা অর্থাৎ যেখানে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ছুটে গিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী জন বালা। তিনি সকাল থেকে সমস্ত কাজের তদারকি করছেন। বেলায় ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর।

বৃহস্পতিবার তিনি টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও টুইটে দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য শোকপ্রকাশ করে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার যখন ময়নাগুড়িতে রেল দুর্ঘটনাটি ঘটে, সেসময়ই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি খবরটি পেয়ে ওই বৈঠক থেকেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠান। পরে প্রধানমন্ত্রী তাঁর থেকে দুর্ঘটনার কথা সবিস্তারে শোনেন এবং গুরুত্ব দিয়ে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।