স্বাধীনতা দিবসের আগেই জোড়া এসি লোকাল ট্রেন চালু হয়েছিল শিয়ালদহ ডিভিশনে। কিন্তু এই এসি লোকালই এখন কার্যত ক্ষোভের কারণ হয়ে উঠেছে নিত্যযাত্রীদের। অভিযোগ এসি লোকালকে জায়গা ছাড়তে গিয়েই দেরিতে চলছে অন্যান্য ট্রেন, আর তাতেই বেজায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা। আপ লাইনের একাধিক ট্রেন সময়ের তুলনায় দেরিতে ঢুকছে স্টেশনে। কোনও কোনও দিন সময়ের থেকে ১৫/২০ মিনিট দেরিতে চলছে ট্রেন, যার জেরে সময়ে অফিস কিংবা স্কুল কলেজে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাচ্ছে অনেকের।
তাঁদের অভিযোগ আপ লাইনে এসি লোকাল শিয়ালদহ থেকে ছাড়ে ৯টা ৪৮ মিনিট নাগাদ। যা বিধাননগর ঢোকে ১০টার আশেপাশে। ওই ট্রেন ছাড়তেই আপ দত্তপুকুর লোকাল ১০টা ৬মিনিটে বিধাননগর ঢোকার জায়গায়, প্রতিনিয়ত ঢুকছে ১০টা ২০ নাগাদ। শুধু তাই নয় এর জেরে ওই সময়ের বনগাঁ, বারাসত-সহ একাধিক লোকালও গন্তব্যে পৌঁছছে।
এতেই বেজায় চটেছেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের দাবি পরিকাঠামোর উন্নতি না করে এসি লোকাল চুটিয়ে দেওয়ার জেরেই এই সমস্যা হচ্ছে। এসি লোকালগুলিতে অন্যান্য লোকালের তুলনায় ভিড় কম থাকে, কার্যত ফাঁকাও যায়। বিলাসিবহুল ওই ট্রেনকে ছাড়তে গিয়ে খেঁটে খাওয়া নিত্যযাত্রীরা বেজায় সমস্যার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ।
যাত্রীদের আরও অভিযোগ, দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে রোজই ট্রেন ১০-১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে। এসি লোকাল চালু হওয়ার ওর থেকে নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে উঠেছে এটি। এই প্রসঙ্গে, ডিআরএম শিয়ালদহ রাজীব সাক্সেনা বলেন, “একটা নতুন পরিষেবা চালু হয়েছে। পুরোটা স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। সিস্টেম আপডেট হচ্ছে। আশা করা যায় দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।” সকাল বেলা আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েও প্রবল রোদে স্টেশনে অপেক্ষা করে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। এর জেরে ভিড় ও বাড়ছে, সময়ে কাজে পৌঁছতেও পারছেন না যাত্রীরা। দ্রুত সমাধান চাইছেন নিত্যযাত্রীরা।