বকেয়া ডিএ আদায়ে নবান্ন অভিযান

ফাইল চিত্র

বকেয়া ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। সেই বকেয়া ডিএ আদায়ে এবার পথে নেমে আন্দোলন করতে চাইছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। নবান্ন অভিযানের পথেও হাঁটতে পারেন তাঁরা। আজ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক থেকে কর্মসূচির বিস্তারিত ঘোষণা করবেন আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। তবে কোনদিন এই অভিযান হবে তা এখনো ঠিক হয়নি।

বকেয়া ডিএ আদায়ে শীর্ষ আদালতে মামলা চলছে। মামলায় ২৭জুনের মধ্যে বকেয়া ডিএ-র ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যদিও এই বকেয়া মেটানোর জন্য রাজ্য আরও ৬ মাস সময় চেয়ে নিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের থেকে। তার কারণ হিসেবে নবান্ন বলেছে, বকেয়া ২৫% মেটানোর জন্য বাজেটে অর্থের সংস্থান করে রাখা ছিল না। এই কারণেই তা এখনও দেওয়া সম্ভব হয়নি।

নবান্নের এই যুক্তিতে ক্ষিপ্ত সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘দুরাত্মার ছলের অভাব হয় না। সরকারের এই আবেদন তারই বর্হি প্রকাশ। তবে আমরাও তৈরি আছি, কর্মচারীদের অধিকার হরণ করে এই সরকারকে কাটমানি শিল্প চালিয়ে নিয়ে যেতে দেব না।’ শনিবার প্রেস ক্লাব থেকে রাস্তায় নামার কর্মসূচি ঘোষণা করার পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে আদালত অবমাননার নোটিশও পাঠাবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আজই প্রেস ক্লাব থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হতে পারে।


সংগঠনের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, ‘আমরা আগেও একসঙ্গে বহু মুভমেন্ট করেছি। আবারও করব। কারণ, এই রাজ্য সরকার ১০ বছর ধরে একটাই চেষ্টা চালিয়ে এসেছে যাতে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ যাতে না দিতে হয়। আদালত অবমাননার দায় এড়াতে আরও ৬ মাসের সময় চাওয়ার ঘৃণ্য কৌশল নেওয়া হল।’ সরকারি কর্মচারীদের একাংশের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘এই পদক্ষেপ আদালত অবমাননাকারী পদক্ষেপ। রাজ্য সরকারের উচিত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া। আমার টাকা নেই বলার যুক্তি নেই। কারণ, কর্মচারীদের বেতন, পেনশন হচ্ছে স্থায়ী খরচ। মেলা-খেলা করে স্থায়ী খরচের অর্থ নষ্ট করেছেন তিনি।’

প্রসঙ্গত, ১৬ মে সুপ্রিম কোর্ট ডিএ সংক্রান্ত মামলায় নির্দেশ দিয়েছিল, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যে পরিমাণ ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া রয়েছে, তার ২৫ শতাংশ রাজ্য সরকারকে মিটিয়ে দিতে হবে পরের ছয় সপ্তাহের মধ্যে। সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে কাল, ২৭ জুন। আগামী আগস্ট মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।