মৃত বিএলও-দের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ভাবনা কমিশনের

আগেই এসআইআরের সময়সীমা বাড়িয়ে ৪ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর করা হয়েছে কমিশনের তরফে। আবার সেই সময়সীমা বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত নির্বাচন কমিশনের। শুক্রবার ১২ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। সেখানেই এসআইআরের সময়সীমা বাড়ানোর কথা বলে কমিশন। কমিশনের তরফে এদিন বলা হয়, সময়সীমা বাড়াতে হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সিইও দপ্তরকে এবিষয়ে কমিশনের কাছে সুপারিশ করতে হবে। এর পাশাপাশি, ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের প্রক্রিয়া চলাকালীন যেসকল বিএলও আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে সেইসব পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদানে কমিশন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কমিশনের তরফে এসআইআর ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই রাজ্যগুলিতে এই প্রক্রিয়া চলাকালীন বিপাকে পড়তে হয় রাজ্যের বিএলও আধিকারিকদের। অল্প সময়ে এত কাজ সামলাতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা বিএলও-দের। এরপরে কমিশনের তরফে সময়সীমা বাড়ানো হয়। এই আবহে শুক্রবার ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সিইও-দের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। এদিন নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয় যদি সময়সীমা বাড়াতে হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সিইও দপ্তরগুলি কমিশনের কাছে যাতে সুপারিশ করে। সেই সুপারিশ খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশন সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে।

এর পাশাপাশি, এদিন কমিশনের তরফে মৃত বিএলও-দের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের বিষয়টিতে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে। রাজ্যগুলিতে এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভে নামেন বিএলও-রা। এরপর কমিশনের তরফে যাবতীয় ভোটারদের তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করার দায়িত্ব দেওয়া হয় বিএলও আধিকারিকের উপর। এরপরেই বিএলও-রা অতিরিক্ত চাপ সামলাতে না পারায় আন্দোলনে নামেন। এর মধ্যেই কাজের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন একাধিক বিএলও আধিকারিক।


এমনকি কাজের চাপে মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজন বিএলও-র। আত্মঘাতীও হন অনেকে। এই বিএলও আধিকারিকের মৃত্যুর পরে তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদান ও পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দেওয়ার দাবি জানিয়ে রাজ্যের সিইও দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিএলও আধিকারিক সহ মৃত বিএলও -র পরিবারের সদস্যরা। এরপরেই শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, মৃত বিএলও আধিকারিকদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করতে প্রস্তুত কমিশন। মৃত বিএলও-দের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ক্ষতিপূরণের প্রসেসিং-এর কাজ শুরু করার কথা ভাববে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।