কলকাতা থেকে চিংড়ি-সহ মাছ রপ্তানিতে জোর দিচ্ছে চিন। সেকারণে বাংলা থেকে চিনে মাছ রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কলকাতার চিনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে।
কলকাতার ৬টি বণিকসভার প্রতিনিধিকে নিয়ে বৈঠকে করেন কলকাতা চিনা দূতাবাসের কর্তারা। ২৬ অক্টোবর থেকে চালু হচ্ছে কলকাতা চিনের গুয়াংঝৌ পর্যন্ত বিমান পরিষেবা। আগামী নভেম্বর থেকে চালু হবে দিল্লি থেকে সাংহাই ও গুয়াংঝৌ বিমান। চিনা কনসাল জেনারেল শ্যু ওয়েই জানান, বিমান পরিষেবা চালু হলে অতি সহজেই কলকাতা ও দেশের অন্যান্য শহর থেকে চিনে যাওয়া যাবে।
চিনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক কলকাতার বহু ব্যবসায়ী। একথা তাঁরা চিনা দূতাবাসকেও জানিয়েছেন। ওড়িশার বহু ব্যবসায়ীও চিনের সঙ্গে ব্যবসা করতে চাইছেন। ব্যবসায়ীদের জন্য সহজে ভিসা ও সরাসরি বিমান চলাচল হলে এগুলি বাস্তবায়িত করা আরও সহজ হবে। চিনা কনসাল জেনারেল জানিয়েছেন, চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত এবং চিনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১১৫.২ বিলিয়ন ডলার। প্রত্যেক বছর তা ১০.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চলতি বছরে কলকাতার চিনা দূতাবাস ১২ হাজার ৭১৭টি ভিসা দিয়েছে। এই সংখ্যা গত বছর থেকে অনেকটাই বেশি। চিনে ভারতের উন্নতমানের সামগ্রীর কদর ও চাহিদা রয়েছে। কলকাতা থেকে চিনের বিভিন্ন জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণের মাছ ও চিংড়ি রপ্তানি করা হচ্ছে। যা প্রত্যেক বছর বেড়েই চলেছে।
কোনও সংস্থা ভালো ও উন্নতমানের সামগ্রী চিনে রপ্তানি করতে চাইলে দূতাবাস সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন চিনা দূতাবাসের আধিকারিকরা। বাঙালির মতো চিনাদের মাছ প্রিয়। শুধু মাছ নয়, আমও চিনা নাগরিকদের খুব প্রিয় খাদ্যবস্তু। রাজ্যের ব্যবসায়ীরা চিনে আম রপ্তানি করতে চাইলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। বণিকসভার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে চিনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, চিন-ভারতের মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু হলে ভারতে চিনা পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ভারত থেকে চিনেও বেশি সংখ্যক পর্যটক যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।