১৮ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে ক্রিসমাস কার্নিভালের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই কার্নিভাল। এই বছর ১৫ বছরে পা দিচ্ছে এই উৎসব। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উৎসবের সূচি ঘোষণা করেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। এ বছর ক্রিসমাস কার্নিভাল একদিন আগেই উদ্বোধন হবে বলে জানান মন্ত্রী। জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত অ্যালেন পার্কে থাকবে বিশেষ আলোকসজ্জা। পাশাপাশি থাকবে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিল্প সম্মেলনের কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে বড়দিনের উৎসবের সূচিতে কিছুটা বদল আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে নবান্ন।
প্রতি বছর সাধারণত ১৯ অথবা ২০ ডিসেম্বর বড়দিনের উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। নবান্ন সূত্রে খবর ১৭ ডিসেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বসছে এমএসএমই সংক্রান্ত বৈঠক। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত হবে বিজনেস কনক্লেভ। ওই কনক্লেভ যোগ দিতে শহরে আসছেন দেশি ও বিদেশি শিল্পপতি, বিনিয়োগকারী এবং বণিক মহলের প্রতিনিধিরা। বিজনেস কনক্লেভের কর্মসূচি শেষ করেই মুখ্যমন্ত্রী পার্ক স্ট্রিটে গিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বড়দিনের উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন।
এ বছর উৎসবকে কেন্দ্র করে অ্যালেন পার্কে স্টলের সংখ্যা বাড়ছে। ১৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেলেই থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর অ্যালেন পার্ক বন্ধ থাকবে। ২৬ তারিখ কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের পর্যটন দপ্তর এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা চার্চ গুলিকেও সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
শিল্প সম্মেলনের কথা মাথায় রেখে এ বছর বড়দিনের উৎসবে আলোকসজ্জার ক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। পার্ক স্ট্রিটের পাশাপাশি ভবানীপুর মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র হওয়ায় বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। তাই এই এলাকাকেও আলোর সজ্জায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। আবার এই বিধানসভাতেই রয়েছে আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহ। সেখানেই হবে শিল্প সম্মেলন। তাই ওই অঞ্চলকেও বিশেষভাবে আলোয় মুড়ে ফেলা হবে বলে খবর। পুরসভা সূত্রে খবর, এই আলোকসজ্জার জন্য কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে যাতে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে কোনও নেতিবাচক বার্তা না যায়, সে বিষয়ে সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। শিল্প সম্মেলনের সঙ্গে বড়দিনের উৎসবকে ঘিরে তাই এ বার শহর জুড়ে প্রস্তুতির ছবি স্পষ্ট।