আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ–খুনের ঘটনার প্রতিবাদে অবস্থান, বিক্ষোভ, অনশন করেছিলেন চিকিৎসকদের একাংশ। সেই সময় পুলিশের একাধিক কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। তার প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেওয়া হয়। চার্জশিটে নাম থাকা সেই জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকরা বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন নেন।
মোট ১১ জন সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসক এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে গিয়ে জামিনের আবেদন করেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেবাশিস হালদার, কিঞ্জল নন্দ, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, সুবর্ণ গোস্বামীরা। তাঁদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে চিকিৎসকদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী ইয়াসিন রহমান। তিনি জানিয়েছেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। আরজি কর হাসপাতালের ভিতরে খুন–ধর্ষণের মতো ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়ে চিকিৎসকরা আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পুলিশ। সেই কারণে তাঁরা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছেন। ইয়াসিন আরও জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। এই মামলা লড়ে তাঁরা জিততে চান।
চিকিৎসক সূবর্ণ গোস্বামী জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানা ও বৌবাজার থানায় দুটি চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশ। রাজ্য সরকারের নির্দেশে এসব হয়েছে। সরকারের খাতায় রোজ স্বাক্ষর করে বেতন নিচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের পলাতক হিসেবে দেখানো হয়েছে। পুলিশের উপর অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ, অগ্নিসংযোগের চেষ্টা ইত্যাদি অভিযোগ আনা হয়েছে। ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তিনি ব্যাঙ্কশাল আদালতে এসে জামিন নিয়েছেন।